১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৪:০০

জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচন

সরকার হায়দার, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচন

দীর্ঘ ১৭ বছর অপেক্ষার পর আগামী ২৮ ডিসেম্বর নিজেদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পৌর মেয়র ও ওয়ার্ড মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার নির্বাচিত করতে যাচ্ছেন পঞ্চগড় জেলার বোদা পৌরসভার ভোটাররা। বর্তমানে এই নির্বাচনকে ঘিরে বোদায় বইছে আনন্দের বন্যা। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরণ হতে চলেছে এই পৌরসভার নাগরিকদের। তাই ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। তবে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে আশংকার কথা জানিয়েছেন বিরোধী বিশ দলীয় জোটের প্রার্থীরা।

২০০১ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কিছু অংশকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতদিন সীমান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন কমিশন এই পৌরসভায় নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। সীমান্ত জটিলতা নিরসনের পর সম্প্রতি আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৬০ জন, সংরক্ষিত মহিলা তিনটি ওয়ার্ডের জন্য ২৪ জন নারী প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে মেয়র পদে সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ওয়াহেদুজ্জামান সূজা। তিনি বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে, ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বোদা উপজেলা বিএপির সাংগঠনিক সম্পাদক হকিকুল ইসলাম বিশ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন হাসান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্রভাবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন । 

এদিকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে আশংকার কথা জানিয়েছেন বিএনপির দুই প্রার্থী। তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত আশংকাজনক কিছু না ঘটলেও সরকারি দলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা লংঘন করছেন। এ ব্যাপারে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আখতার হোসেন হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত আশংকাজনক কিছু না ঘটলেও কর্মীদের মাঝে এক ধরনের আতংক কাজ করছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মানছেন না। তার এ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান সূজা বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনই হবে। এ নিয়ে কোন সংশয় নেই। আর আমি কোন নির্বাচনী বিধি লংঘন করছি না। 

তবে নির্বাচন ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা ২৮ ডিসেম্বরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন। তবে ভোটাররা বলছেন প্রতিক কোন বিষয় নয়। ব্যাক্তি হিসেবে যিনি জনগণের সেবা করবেন তারা তাঁকেই ভোট দিবেন। চায়ের দোকানদার দুলাল হোসেন (৪৪) জানান, মার্কা কোন ব্যাপার নহে বাহে। হামার লগত যাক পামো, যায় হামার কাজ করিবে তাকে ভোট দিমো। 

বিডি প্রতিদিন/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/ওয়াসিফ  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর