১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৫:০৫

নদী ভাঙ্গনের কবলে হবিগঞ্জের অর্ধশত পরিবার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

নদী ভাঙ্গনের কবলে হবিগঞ্জের অর্ধশত পরিবার

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের মনিপুর, সৌলরী, বদলপুর, জয়নগর, কাদিরপুরসহ কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার কালনী-কুশিয়ারা (ভেড়ামোহনা) নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। 

ইতোমধ্যে মনিপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও মসজিদের টিউওবয়েল সৌলরী জামে মসজিদের ঘাটলাসহ অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। 

সৌলরী গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিলন মিয়া জানান, গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে সৌলরী মনিপুর গ্রামের মসজিদ ও টিউবওয়েল, সৌলরী গ্রামের মসজিদের ঘাটলা, আব্দুল করিম, আবুল ফয়েজ মিয়ার বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে শেখ মিলন, নুরুল আমিন, মজিবুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। 

ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, যুগ যুগ ধরে বসত করে আসা মানুষের বাড়িঘর ও মাথা গোঁজার স্থান বিলীন হয়ে যাওয়ায় এখন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। আবার অনেক মানুষ তাদের বাড়ি ভাঙ্গনের আতংকের মধ্যে রয়েছেন। 

আজমিরীগঞ্জের বিশিষ্ট মুরুব্বী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী জানান, তড়িৎ পদক্ষেপ না নিলে মনিপুর, সৌলরী থেকে কাদিরপুর, জয়নগর ঋষিপাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকা নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের তান্ডব থেকে রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বাঁশের আড়া (স্থানীয় ভাষায় ভান্ডা) না দেয়া হলে এলাকার কোন বাড়িঘর ও বসতভিটা রক্ষা পাবে না। তিনি বলেন- বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কান্তি চক্রবর্তী জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহিদুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙ্গন এলাকায় প্রতিমিটার কাজ করতে আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। নদী ভাঙ্গনের ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সৌলরী এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকতকে কয়েকদিনের মধ্যে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনে পাঠানো হবে। আপাতত ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বাঁশের আড়া দেয়া হবে। 

তিনি আরো বলেন- ইতোমধ্যে পাহাড়পুর ও কাকাইলছেও বাজার নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আশা করি শ্রীঘ্রই সৌলরী এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

বিডিপ্রতিদিন/ ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর