১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৯:২৯

'বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের পাশাপাশি জনসচেতনতা জরুরি'

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

'বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের পাশাপাশি জনসচেতনতা জরুরি'

ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ে রোধে কার্যকরী আইন রয়েছে। তবে আইন থাকাটা যত জরুরি জনসচেতনতা থাকা তার চেয়ে বেশি জরুরি। সকলে একত্রে মিলে জনসচেতনতা তৈরি করে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে হবে। আজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'নারীর ক্ষমতায়ন ও বাল্যবিয়ে রোধ' শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ছেলেদের পাশাপাশি নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ শুধু মা-বোনদের একার বিষয় নয়, আমরা যদি আমাদের মেয়েদেরকে শিক্ষিত করতে পারে তাহলে জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ শিক্ষিত হবে। একজন মা শিক্ষিত হলে, পরিবার শিক্ষিত হয়। একটি পরিবার থেকে একটি সমাজ জাতি সকলেই শিক্ষিত হয়। কাজেই নারী উন্নয়ন কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই এগিয়ে নিতে হবে। এ উপলব্ধি থেকেই সরকার নারী শিক্ষা, নারীদের স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। 

স্পিকার আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অগ্রগতির জন্য অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  স্পীকার বলেন, বাল্যবিয়ের অনেক কারণ আছে। সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ নানা কারণেই বাল্যবিয়ে সংঘঠিত হচ্ছে। এ কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূরিভূত করতে হবে। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় আমাদের সংসদ সদস্যরা বড় বড় সভা সমাবেশের পাশাপাশি ছোট ছোট উঠোন বৈঠক আর মায়েদের নিয়ে সভায় সকলকে সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। 

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ উন্নত হচ্ছে। এ উন্নয়ন প্রতিটি উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে। জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা। সকল সরকারী সেবা ডিজিটাইলজড করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব করা হয়েছে। স্কুল কলেজে তথ্য-প্রযুক্তিগত শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মীর শহিদুল ইসলাম পুন্যর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, নারী নেত্রী মাহি ইমাম, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য রিবলি ইসলাম কবিতা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার প্রমুখ। সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর