১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৯:৪৮

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ২ নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক

গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ২ নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা

গোপালগঞ্জে ব্যানার টানানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া বাজারে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার টানাতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এসময় টানানো ব্যানার নামিয়ে কুপিয়ে কেটে অবমাননা করা হয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এনিয়ে মুকুল বোস ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খানের ভাতিজা খান্দারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খানের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী তারাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি কুপিয়ে কাটতে পারে। তারা ছবি কেটেই খ্যান্ত হয়নি। তারা এ ছবির অবমাননা করেছে। এ ঘটনায় আমি মুকসুদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করবো। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।

মুকুল বোসের সমর্থক বিল্লাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমি খান্দারপাড়া বাজারে মুকুল বোসের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সম্বলিত ১০টি ব্যানার টানাই। বুধবার সকালে ওই বাজারে গিয়ে আরো ৪টি ব্যানার টানাতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খানের সমর্থক শুভ্র মুন্সী, দিপু খন্দকার, স্বপন শেখ, রাকিব সিকদার,ডাবলু মোল্লা আমাকে বাধা দেয়। তারা বলে এখানে ফারুক খানের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি থাকবে না। তারা টানানো ব্যানার নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় ও পদদলিত করে উল্লাস করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে ওই বাজারের শাহানের খাবর হোটেলে আশ্রয় নেই। পুলিশ আসলে হোটেল থেকে বের হই।
 
বিল্লাল অভিযোগ করেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তারা তাকে মারপিটের ভয় দেখাচ্ছে।
 
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দু'পক্ষই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে। আমার পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ফের এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খান্দারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খান বলেন, মুকুল বোসের সমর্থক বেল্লাল স্থানীয় সংসদ সদস্য ফারুক খানের ছবি সরিয়ে সেখানে মুকুল বোসের শুভেচ্ছার ব্যানার টানিয়েছে। এতে বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমরাও আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমার সমর্থকরা বঙ্গবন্ধুর ছবি কোপায়নি। এমনকি ছবি অবমাননাও করেনি। আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মুকুল বোস মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। 

বিডি প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর