১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২১:২৫

রাঙামাটিতে বিজয় দিবসের নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

রাঙামাটিতে বিজয় দিবসের নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা

রাঙামাটিতে উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে হয়ে গেলো বিজয় দিবসের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাঙামাটি রিজিয়ন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত শহরের ট্রাক টার্মিনাল ঘাট এলাকায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, রাঙামাটি জোনের জোন কমান্ডার লে, কর্নেল মো. রেদুওয়ান ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু শাহেদ চৌধূরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মুছা মাতব্বর প্রমুখ।
পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের মিলবন্ধনকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে আয়োজিত  রাঙামাটি জেলার ৬টি উপজেলার থেকে নারী-পুরুষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আন্তবাহিনীর রাঙামাটি সেনা জোন, জুরাছড়ি সেনা জোন, বিলাইছড়ি সেনা জোন, লংগদু সেনা জোন, নানিয়ারচর সেনা জোন ও কাপ্তাই সেনা জোনের সদস্যরা। এছাড়া ক্যাল্লামুড়ো, লংগদু, পুরানবস্তি এলাকার নারী-পুরুষ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, শহরের পুরানবস্তি ঘাট এলাকা থেকে নৌকাবাইচ শুরু হওয়ার আগে কাপ্তাই হ্রদের পাড় জন সমুদ্রে পরিণত হয়। হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে হ্রদ এলাকায়। কেউ নৌকাই চড়ে, কেউ স্পিট বোড নিয়ে, আবার কেউ ঘাটে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী উপভোগ করে মনরোম নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এসময় মানুষের আনন্দ উল্লাসের আমেজ ছড়িয়ে পরে পুরো রাঙামাটি শহরে। প্রতিযোগিতা দেখতে আসে পাহাড়ি-বাঙালী, তরুণ-তরুণীরা। মেতে উঠে বিজয়ে উল্লাসে ।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা শুরু হয় পুরানবস্তি এলাকার ঘাট থেকে। শেষ হয় শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল ঘাট এলাকায় এসে। পুরো এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতিযোগিদের নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়।
নৌকাবাইচে সাম্পান প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন- মো. জামাল উদ্দীন। তাকে দেওয়া হয় নগদ ৬ হাজার টাকা। ২য় স্থান অর্জন করেছেন- মো. আব্দুল মান্নান। তাকে দেওয়া হয় নগদ ৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারি মো. দিদারকে দেওয়া হয় নগদ ২হাজার টাকার পুরস্কার।


এছাড়া মহিলা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন-অঞ্চনা ত্রিপুরা। তাকে ২০ হাজার টাকা, ২য় স্থান অর্জনকারী বিশাকা চাকমাকে ১৭ হাজার টাকা ও ৩য় স্থান অর্জনকারী সভামনি ত্রিপুরাকে নগদ ১৫হাজার টাকা দেওয়া হয়। পুরুষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন জুরাছড়ি উপজেলার শান্তিময় চাকমা। তার দলকে দেওয়া হয় নগদ ৬০ হাজার টাকা। ২য় স্থান অর্জনকারী রাঙামাটি সদর ক্যাল্লামুড়ো এলাকার যুবরাজের দলকে দেওয়া হয় নগদ ৪০হাজার টাকা ও ৩য় স্থান অর্জনকারী   শিরমনি চাকমার দলকে দেওয়া হয় নগদ ২০ হাজার টাকা।
এছাড়া নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি জেলার সেনাবাহিনীর ৬টি জোনের মধ্যে রাঙামাটি সদর জোন প্রথম স্থান, জুরাছড়ি ২য় স্থান ও নানিয়ারচর ৩য় স্থান অর্জন করেন। তাদেরকে ট্টপি ও মেডল দেওয়া হয়।
এছাড়া রাঙামাটি নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আকর্ষণ বাড়াতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে নিয়ে আসা হয় ৬টি ওয়াটার রিভার ভাইক। প্রতিযোগিতা চলাকালে ভাইকগুলো বিভিন্নভাবে হ্রদে শোডাউন দেয়।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর