১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৮:০৭

ঠাকুরগাঁওয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মুন্না’র ভর্তির অর্থ দিলো ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মুন্না’র ভর্তির অর্থ দিলো ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৭-১৮) একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়া মো. মুন্না আলীর ভর্তির জন্য ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দেওয়া অর্থ তার পরিবারকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার মহান বিজয় দিবসে মেধাবী শিক্ষার্থী মুন্নার বাবা-মায়ের হাতে ভর্তির অর্থ তুলে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবীন সাংবাদিক সংগ্রামী বাংলার সম্পাদক আব্দুল লতিফ, ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

মেধাবী শিক্ষার্থী মুন্না ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ গ্রামের বর্গা চাষি আব্দুল মালেকের ছেলে।

মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ওই শিক্ষার্থী মুন্না জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন চালু করা আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনাতে পড়াই আমার ইচ্ছা। তাছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরে ভর্তি ফি তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে থাকায় আগে থেকেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেই। টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চয়তায় পড়েছিলাম। ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান মাহফুজ কবির আমার ভর্তির দায়িত্ব নিয়ে আজ ভর্তির জন্য অর্থ দিয়েছেন  মায়ের হাতে।

ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান মাহফুজ কবির জানান, ঠাকুরগাঁও শিক্ষার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। অনেক ভাল ছাত্র অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না যা পত্র-পত্রিকায় খবর দেখলে কষ্ট লাগে। মুন্নার ভর্তির অনিশ্চয়তার খবর ফেসবুকে নজরে আসলে তার ভর্তি হওয়ার দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র। আমরা এই অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারে কাজ করছি। ঠাকুরগাঁওয়ের মেধাবী মুন্নার মত কোনো অসহায় শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে ভর্তি হতে না পারলে ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সব সময় তাদের পাশে থাকবে।

উল্লেখ্য, মুন্না এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে নৃ-বিজ্ঞান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে 'এ' ইউনিটে ইংরেজি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এইচ’ ইউনিটে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা ‘বি’ ইউনিটে ইংরেজি এবং 'সি' ইউনিটে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছেন। ইতোমধ্যে অর্থাভাবে জবিতে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে মেধাবী ছাত্র মুন্নার।

বিডি প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর