১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৭:১৯

দিনাজপুরে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সংধিান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, মুজিব নগর সরকারের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোন ১ এর চেয়ারম্যান তৎকালীন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা এম. আব্দুর রহিম ১৯৭১ সালে ১৮ ডিসেম্বর দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সামরিক গার্ড অব অর্নার প্রদান করেন মিত্র বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার ফরিদ ভাট্টি ও কর্ণেল শমসের সিং এর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল। 

মরহুম এম. আব্দুর রহিমের স্মৃতিকে ধারণ করে আজ ১৮ ডিসেম্বর এম. আব্দুর রহিম সমাজ কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে দিনাজপুরে পতাকা উত্তোলন দিবস পালন করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ভাদু। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আব্দুল লতিফ, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, এম.আব্দুর রহিম সমাজ কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্রের সভাপতি এ্যাড. আজিজুল ইসলাম জুগলু, কার্যকরী সভাপতি সফিকুল হক ছুটু, সাধারণ সম্পাদক চিত্তঘোষ, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ কুমার বকশী বাচ্চু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। 

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার সিদ্দিক গজনবী ও সাবেক কমান্ডার মোকাদ্দেস হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকাকে সালাম জানানো হয়।  বিকেল ৩ টায় এম.আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্রের সভাপতি এ্যাড. আজিজুল ইসলাম জুগলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী জান্নাত এ ফেরদৌসি লাকীর জাগরণের গান ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে স্বাধীকার আন্দোলন ও মরহুম এম. আব্দুর রহিমের  ভূমিকাকে ধারণ করে সঙ্গীত পরিবেশন করে মঞ্চকে মাতিয়ে তোলেন। এসময় উদীচীর শিল্পীরা দেশের গান পরিবেশন করেন। 

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনাজপুর বিএমএ, ডায়াবেটিক, মেডিসিন, সন্ধানী রক্তদান কর্মসূচি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেন। রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। 

উল্লেখ্য, এম. আব্দুর রহিম পশ্চিম জোন-১ এর জোনাল চেয়ারম্যান ছিলেন। তার অধীনে ১১২টি  রিলিফ ক্যাম্প, ১২টি যুব অর্ভ্যথনা শিবির, ৬টি মুক্তিযোদ্ধ ক্যাম্পসহ ১টি মুক্তিযোদ্ধা বাছাই ক্যাম্প ছিল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় অঞ্চল পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন এবং ত্রাণ ও পূর্নবাসন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এম. আব্দুর রহিম। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর