১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৭:৪১

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট:

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হাসান অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভূক্তির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন হোসেন গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে দু'দিন ধরে তদন্ত করে অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন। তদন্তে তিন জন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

মোল্লাহাট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে বাদশা শেখ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগে মোল্লাহাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হাসানের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় হাফেজ শেখকে অন্তভূক্তির জন্য দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ আনা হয়।

বাদশা শেখ বলেন, আমার পিতা হাফেজ শেখকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্বাক্ষীদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বোর্ডে হাজির হই। সেখানে উপস্থিত সকলের সামনে কাগজপত্র দেখে ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার অন্তভুক্তির তালিকায় আমার পিতার নাম যাবে বলে আশ্বস্ত করেন। এর কয়েকদিন পর তিনি তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার পিতার নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক  আমার পিতা হাফেজ শেখকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তরভুক্তির দাবি জানাই। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর