১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ১২:২৩

দিনাজপুরে বিদেশি সবজি চাষে ভাগ্য বদল ইদ্রিস আলীর

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর থেকে:

দিনাজপুরে বিদেশি সবজি চাষে ভাগ্য বদল ইদ্রিস আলীর

কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় ধান চাষ বাদ দিয়ে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য বিশেষ জাতের চাইনিজ সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের কৃষক ইদ্রিস আলী।

যে জমিতে ধান চাষ করতেন সেখানে বার মাস সবজি চাষ করে ভাগ্য বদল হয়েছে তার। চলতি বছরে প্রায় ৮লাখ টাকা মূল্যের একবিঘা জমিও কিনেছেন তিনি। 

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব সবজি বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। তবে এর বীজ সহজে পাওয়ার জন্য কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসা উচিত বলে চাষী ইদ্রিস আলী মনে করেন। 

বিশেষ এসব স্ববজীর মধ্যে রয়েছে, ব্রকলি, পেগসাই, চাইনিস পাতা, স্কোয়াস, লেটকেবিস, পুদিনা পাতা, থানকিন, লেটুস পাতা, লিকপাতা, ছালারী, খাগরিসালাত, ভাংচিং। এসব সবজি বছরের বার মাসই চাষ করা যায়। তবে বর্ষাকালে এসব দ্বিগুন দামে বিক্রি করা যায়। 

ইদ্রিস আলী দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সুজালপুর ইউপির দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

চাষী ইদ্রিস আলী জানান, আমার ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে ঢাকায় চাইনিজদের সাথে পরিচয় হয়। ওই চাইনিজদের মাধ্যমেই চীন থেকে বীজ এনে দেয়। আমারা সেই বীজ থেকে চারা এবং চারা থেকে সবজি চাষ করে তাদের কাছেই বিক্রি করি। তাদের এসব প্রিয় সবজি। আমি ২০১৩ সাল থেকে এসব চাষ করে আসছি। 

ইদ্রিস আলী আরও জানান, এখন ৫ বিঘা জমিতে এসব চাষ করেন। এসব সবজি বীজ ঢাকা থেকে এনে চারা করি। বীজ থেকে ১০দিন পর চারা হয়। সেই চারা জমিতে রোপন করি। রোপনের ৩০/৩৫ দিন পর থেকে এসব সবজি বিক্রি করা যায়। প্রতিটি সবজি বিক্রিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এসবের চাহিদা রয়েছে এবং কমবেশী খরচ বাদ দিয়ে শতকরা ৫০ভাগ লাভ করা যায়। তবে এসব সবজি বর্ষাকালে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। যদি লেটুস পাতা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১০০ টাকা তবে বর্ষাকালে এটা ৩০০ টাকা বিক্রি হয়। 

চাষ সম্পর্কে ইদ্রিস আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম জানায়, বর্ষাকালে চাষ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি না জমে। পানি জমলে পচন ধরতে পারে। তবে এসব সবজি চাষে পোকামাকর তেমন আক্রমণ করে না। এরপরেও প্রয়োজনে সার-কীটনাশক দিতে হয়। জমিতে পানি না থাকেলে সেচ দিতে হয়। স্থানীয় বাজারে এসব বিক্রি হয় না কারণ এসব সবজি এ এলাকার মানুষ খায় না। এসব সবজি বিদেশীদের বেশী প্রিয়। এসব সবজির মধ্যে লেটকেবিস, স্কোয়াস, ব্রকলি পিচ হিসাবে বিক্রি হয়।
 
এ চাষে বীরগঞ্জ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম নিয়মিত এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি পরিদর্শন করেন এবং সমস্যা হলে সমাধান দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর