১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৩:১৩

মাদারীপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর বেহাল দশা

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর:

মাদারীপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর বেহাল দশা

মাদারীপুর জেলার ৪ টি উপজেলার সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা। বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার নিয়োগ দিলেও কর্মস্থলে উপস্থিত থাকে না অধিকাংশ ডাক্তারগণ। এতে ভেঙ্গে পড়েছে জেলার তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের মূল উদ্দেশ্য।

মাদারীপুরে ৪ টি উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫৮টি এবং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ১৩টি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন এবং  উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রনাধীন। তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেই এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের উপস্থিতি না থাকা এবং অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক ডাক্তার মাসে একদিন এসে বেতন তুলতে হাজিরা খাতায় সই দিতে আসেন। 

চিকিৎসক না থাকায় গ্রামের অনেক নারীরাও মেয়েদের নানা ধরনের চিকিৎসার পরামর্শ নিতে পারছেন না। সরেজমিন বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই সেখানে চিকিৎসক থাকে না। 
ধুরাইল ইউনিয়নের এক নারী বলেন, আমরা গ্রামের মহিলারা ঠিকমত ডাক্তার পাই না। আমাদের এখানে অধিকাংশ দিনই ডাক্তার থাকে না। আমাদের এখানে নিয়মিত ডাক্তার থাকলে আমরা সহজেই স্বাস্থ্য সেবা পেতাম। 

ভদ্রাসন বাজারের রফিক নামে এক ব্যবাসায়ী বলেন, আমাদের এখানে মাঝে মধ্যে ডাক্তার আসে। নিয়মিত ডাক্তার পাইনা। ডাক্তাররা ঠিকমত আসলে আমাদের কষ্ট করে শিবচর কিংবা মাদারীপুর যেতে হতো না। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই ডাক্তারদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়মিত প্রেরণ করার। যেসব ডাক্তার নিয়মিত ডিউটি করে না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের। মাদারীপুরবাসীর দাবী অতিদ্রুত সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তবে এব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার দাস বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রাধীন ১৩টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিতই ডাক্তাররা ডিউটি করে। যদি কেউ ডিউটি ফাঁকি দেয় এবং তার প্রমান পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণাধিন নয়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর