শিরোনাম
১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৩২

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের আগুনে পুড়লো ৮ গবাদি পশু

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের আগুনে পুড়লো ৮ গবাদি পশু

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোড়কদি ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামের এক সংখ্যালঘু পরিবারের ২টি গোয়াল ঘরে আগুন দিয়ে ৩টি গরু, ৫টি ছাগল পুড়িয়ে মারা এবং গোয়াল ঘরের ছাদে থাকা পেঁয়াজ ও পাট পুড়িয়ে দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগুনে সুনীল বিশ্বাসের আরও ২টি গরু ও ৩টি ছাগল ঝলসে গেছে। এতে ওই পরিবারের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করেছেন।

বাড়ীর গৃহকর্তা সুনীল বিশ্বাস জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গরু ছাগলের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার দু'টি গোয়াল ঘরের চারপাশে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন চিৎকার শুরু করি। আমার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন নেভানোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়। শুধু গবাদি পশুকেই আগুন দিয়ে মারা হয়নি, কয়েকশ মন পাট ও পেয়াজও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে সুনীল বিশ্বাস বলেন, আমি যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমার উপর হামলা করা হলে কোন দুঃখ থাকতো না। কিন্তু অবলা পশুকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার মতো জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের বিচার চাই আমি।

ক্ষতিগ্রস্থ সুনীল বিশ্বাসের ছেলে সুবল বিশ্বাস জানান, অনেক আগে থেকেই পাশ্ববর্তী চর বাঁশপুর গ্রামের দলিলউদ্দিন মুন্সির ছেলে রহমান মুন্সি, মোস্তফা মুন্সি ও ওলেমান মুন্সির সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারাই আমাদের গোয়াল ঘরে আগুন দিয়ে এ ক্ষতি সাধিত করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার চাই। 

দলিলউদ্দিন মুন্সীর ছেলে মোস্তফা মুন্সী এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা এমন জঘন্য কাজের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নই। আমাদের ফাঁসাতেই সুনীল বিশ্বাস আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। 
এ ঘটনায় মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর