১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৫:৫২

রামসাগর উদ্যানে খাবারের অভাবে জীবন সংকটে ৪৮টি চিত্রা হরিণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

রামসাগর উদ্যানে খাবারের অভাবে জীবন সংকটে ৪৮টি চিত্রা হরিণ

প্রচণ্ড শীত ও খাবারের অভাবে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় ৪৮টি চিত্রা হরিণের জীবন সংকটের মুখে। তবে ৬ মাস পরে আগামী মাসে খাবারের একটা বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে জানান দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন।

খাবারের অভাবে চঞ্চল ও দুরন্ত হরিণগুলো ঝিমিয়ে পড়ছে। খাদ্য ও পুষ্টির অভাবে রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছে হরিণগুলো। অপরদিকে থাকার সেড না থাকায় প্রচন্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছে হরিণগুলো। 

চিড়িয়াখানার পরিচর্যাকারী বাবুল রায় জানান, চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলার পাতা। গত বছর বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করার ফলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হয়। কিন্তু গত এক বছর ধরে দিঘিতে মাছ শিকারের কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে হরিণের খাদ্যসংকট হয়েছে। পাতা-লতা আর দর্শনার্থীদের দেওয়া খাবার খেয়ে বেঁচে আছে ওরা। এখন ৪৮টির মধ্যে ১২টি হরিণ গর্ভবতী।

দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুস সালাম তুহিন জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের একমাত্র চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ৬টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। হরিণগুলো দ্রুত বংশবিস্তারে বাড়তে বাড়তে এদের সংখ্যা এখন ৪৮টি। এই ৪৮টি চিত্রা হরিণের জন্য গত ৬ মাস আগে খাদ্যের বাজেট এসেছিল। যা প্রয়োজনের তুলনায় এক দশমাংশ। পুরাতন আলু বা ভুট্টা যখন যেটার দাম কম থাকে, তখন সেটাই খাওয়ানো হয়। এটা নিজেরাই ব্যবস্থা করি। 

তিনি আরো জানান, হরিণ রোদ, বৃষ্টিতে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু হরিণ শীত সহ্য করতে না পারায় কাহিল হয়ে যায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই হরিণগুলো থাকার জন্য স্থায়ী সেড নির্মাণ জরুরী। ৬ মাস পর আগামী মাসে এদের খাবারের বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর