১৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৫:৫৮

মহেশপুরে পরিবহনে ডাকাতি ঘটনায় ২ জন আটক, ৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ:

মহেশপুরে পরিবহনে ডাকাতি ঘটনায় ২ জন আটক, ৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

ঝিনাইদহের মহেশপুরে (কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কে) একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। তারা হলেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার আশরাফুল ইসলাম পটলা ও একই উপজেলা শহরের আদর্শ পাড়ার হারুন অর রশীদ ওরফে ভাগ্নে মিলন। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যমতে ৩ কেজি ৪শ গ্রাম (৩০টি সোনার বার) উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মহেশপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবীর। তবে বাকি সোনার হদিস মেলেনি।

তিনি জানান চলতি মাসের ৪ তারিখ গভীর রাতে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী সোনারতরী পরিবহন বাসে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে সময় বাসটি থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণ নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন একটি মাইক্রোবাসে চড়ে ৭/৮ জন ডাকাত বাসটির গতিরোধ করে ঘটনাটি ঘটায়। বাসে যাত্রীবেশী দুইজন ডাকাত ছিল বলে আটক করা ব্যক্তিরা প্রাথমিক ভাবে তথ্য দিয়েছে বলে জানান ওসি।

এ ঘটনার  দুই দিন পরে পুলিশ বাদি হয়ে একটি ডাকাতির মামলা রেকর্ড করা হয়। দায়িত্ব অবহেলার দায়ে এঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মহেশপুর থানার দুইজন এস আই সহ ৮ পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনাটি বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে প্রচার হলে পুলিশ বিভগে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। গত বুধবার ভোর রাতে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে ঢাকার গাবতলী থেকে সোনারতরী পরিবহণ বাসের কাউন্টার মাস্টার আশরাফুল ইসলাম পটলাকে আটক করা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে মহেশপুর ও কোটচাদপুরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ইজিবাইক চালক হারুন অর রশীদ ওরফে ভাগ্নে মিলনকে। এ দুইজনের দেওয়া তথ্য মতে আজ শুক্রবার ভোর রাতে তাদের বাড়ি থেকে ৩০টি সোনারবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৩ কেজি ৪শ গ্রাম বলে জানিয়েছেন মহেশপুর থানার ওসি। আটক করা ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছে বাসাটিতে ৪৭টি সোনার বার ছিল। এই সোনা পাচার করার জন্য ঢাকা থেকে দর্শনা নেওয়া হচ্ছিল।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর