১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১৮:১৮

হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল:

হারিয়ে যাচ্ছে মাটির ঘর

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও সখীপুরের পাহাড়ি অঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এক সময় মানুষের মৌলিক চাহিদার অত্যতম বাসস্থান হিসাবে মাটির তৈরি টালি ঘরের ব্যাপক প্রচলন ছিল। এখন আর সেই মাটির ঘরগুলো চোখে পড়েনা। যুগের পরিবর্তনের সাথে শহরের পাশাপশি গ্রামের মানুষের রুচিরও পরিবর্তন হয়েছে। 

জীবনযাত্রর মান উন্নয়ন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম থেকে হারিয়ে গেছে এ মাটির ঘর। আড়াই থেকে তিন যুগ আগেও প্রতিটা গ্রামে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ ঘর ছিল মাটির। বসবাসের জন্য প্রাচীন মাটির ঘর ব্যবহার হতো। শীতকালে যেমন গরম অনুভব হতো তেমনি গ্রীষ্মকালেও মাটির ঘরে থাকতো শীতল অনভূতি। যা বর্তমানে যুগের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের মতোই আরামদায়ক।

এ ব্যাপরে ধনবাড়ী কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সূচনা আরেফিন সুমি বলেন, কখনো মাটির ঘর দেখিনি। তবে দাদা ও বাবার কাছে মাটির ঘরের কথা শুনেছি। এক সময় নাকি গ্রামের অনেকেই মাটির ঘরে বসবাস করতো। এটা দেখতে নাকি খুবই সুন্দর।

কয়ড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মো. আ. হামিদ (৯৫) বলেন, ৩০-৪০ বছর আগেও মাটির ঘর ছিল। এক সময় আমার বাড়ীতে ২টা মাটির ঘর ছিল। তিনি আরো বলেন, বর্তমানের মাটির ঘরের স্থান করে নিয়েছে পাকা ঘরগুলো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই নানা বাহারী রকমের পাকা ঘর তৈরী করছে। এখন মাটির ঘরের সংখ্যা কমতে কমতে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একদিন মাটির ঘরের কথা বাংলার মানুষের মন থেকে হারিয় যাবে। মাটির ঘর রূপকথার গল্প, কবিতার ছন্দ, সাহিত্যর পাতায় বা যাদুঘরে দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর