২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১৬:২৪

কুমিল্লায় নারী চিকিৎসকের উপর নারীর হামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় নারী চিকিৎসকের উপর নারীর হামলা

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসকের ওপর স্থানীয় এক নারী হামলা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মরত ও ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা ওই নারীকে আটক করলেও স্থানীয়দের চাপের কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চর্ম, যৌন, এলার্জি ও ডার্মেটো সার্জন ডা. আয়েশা আক্তার প্রতিদিনের মত মঙ্গলবারও জেনারেল হাসপাতালের চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। রোগী দেখার সময় হাসপাতাল সংলগ্ন মনোহরপুরের হাজেরা আক্তার নামে এক নারী ওই চেম্বারের পর্দা সরিয়ে ফেলে।  গোপনীয়তা রক্ষার্থে ডা. আয়েশা ওই নারীকে পর্দা না সরাতে অনুরোধ করেন। তারপরও হাজেরা আক্তার নিজেকে স্থানীয় পরিচয় দিয়ে তার রোগীকে আগে দেখতে বলেন। এরপর আবারো তাকে চলে যেতে বললে সে ডাক্তারের ওপর চড়াও হয়। এসময় হাজেরা আক্তার ডা. আয়েশার স্কার্ফ টেনে ছিড়ে ফেলে এবং কিল-ঘুষি মারে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সামছুল হক নামে ম্যাটসের এক শিক্ষার্থী জানায়, ঘটনার পর আমিসহ হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ মিলে হাজেরা আক্তারকে আটকে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু স্থানীয়রা বিষয়টি হাজেরার স্বামী স্থানীয় ফার্মাসিস্ট কামরুল হাসানের সাথে আলাপ করে সমাধান করবে বলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে রেডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সায়মা হক জানান, হাজেরা আক্তার প্রায় সময় বিভিন্ন রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসে। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অনেক সময় সে বিনা টিকিটে রোগী দেখাতে বাধ্য করে। তার রোগী দেখাতে বিলম্ব হলে সে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। সে ডাক্তার-স্টাফদের চাকরি কেড়ে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।

ডা. আয়েশা আক্তার জানান, ওকে (হাজেরা আক্তার) আমি চিনি। এর আগেও সে  হাসপাতালের কয়েকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এবার সে আমার ওপর হামলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আমি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার পক্ষে নই। আমি চাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর বিচার হোক। রোগী দেখতে এসে বহিরাগতদের দ্বারা যদি আমরা হুমকি বা হামলার শিকার হই তাহলে রোগীরা সেবা পাবে কী করে। আমাদেরও নিরাপত্তা কোথায়?

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন ডা. মুজিব রহমান বলেন, শুনেছি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তারপরও আমার কাছে ডা. আয়েশা লিখিত অভিযোগ করলে হাজেরার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে হাসপাতাল গিয়ে হাজেরা কিংবা তার কোনো স্বজনকে খুঁজে না পাওয়ায় এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   


বিডি প্রতিদিন/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর