২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১২:২৩
নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে শিশুরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে শিশুরা

সীমানা প্রাচীর না থাকায় ব্যস্ততম সড়ক সংলগ্ন নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নের সড়ক সংলগ্ন এ নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ইতোপূর্বে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল, আটপুকুরহাট, রুদ্রানী, দেশমা, জামগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচলের জন্য ব্যবহার করে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অসংখ্য ভটভটি, ভ্যান, সাইকেল, অটোরিকসা, ট্রলি, মটরসাইকেল, ট্রাকসহ অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। 

অভিভাবকরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, স্কুল ছুটির পর কমলমতি শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু বিদ্যালয়টি ব্যস্ততম সড়কের সাথে হওয়ায় এবং সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝড়ে যেতে পারে কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রাণ। 

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র জাহিদ হাসান জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করে। তাই বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের থাকলে নিরাপদে স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতে পারবো।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অশিত কুমার দাস বলেন, স্কুলের টিফিনের সময় কমলমতি শিশুরা হৈহুল্লরে মেতে উঠে। কিন্তু সীমানা প্রাচীর না থাকায় দুর্ঘটনার শঙ্কায় সব সময় শিক্ষার্থীদের খুব খেয়াল করে রাখতে হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোন্নাফ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুজ্জামানের সাথে কয়েকবার কথা বলেছি। তিনি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এ নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৮ সালে ৩৩ শতাংশ জমিতে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। এ বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। 

বিডি প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর