দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড়ে গড়ে ওঠা কুল বরইয়ের আড়ত এখন কেনা-বেচায় সরগরম। প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি টাকার বিভিন্ন জাতে কুল বরই কেনা-বেচা হয় এখানে। এই আড়তে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি জেলা থেকে কুল বরই চাষী নানাজাত কুল বরই নিয়ে আসেন। আর তা ঢাকা, কুমিল্লা, চট্রগ্রামসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা পাইকারী দরে কিনে ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ২০টি আড়তে কুল বরই কেনা-বেচা চলছে। এর মধ্যে আপেলকুল, থাই কুল, বাউকুল নামে কুল বরইগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মজুদ রাখা রয়েছে। কুলের সতেজতা ও মান অনুসারে দাম হাকিয়ে আড়তদারেরা তা বিক্রি করে।
ডায়মন্ড ফল ভান্ডারের মালিক ডায়মন্ড হোসেন জানান, এই কুলগুলো মূলত ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, নোয়াখালী, চট্রগ্রামসহ ১৪/১৫টি জেলায় পাঠানো হয়। খেতে সবচাইতে সুস্বাদু আপেল কুল ও থাইকুল মনপ্রতি ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। এছাড়া বাউকুল জাতের বরই প্রতিমণ ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুরের গাংনী থেকে আসা কুল ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, এলাকার কুল বরই চাষীদের বাগান থেকে সরাসরি পাইকারী দরে কুল বরই কিনে এই আড়তে নিয়ে আসি। এই আড়তে কুল বরই বেচা-কেনায় হয়রানী ও ঝামেলা কম থাকায় এখানকার আড়তের প্রতি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ তৈরী হয়েছে।
পাবনা জেলার চাটমোহরের কুল চাষী কাজী সামসু জানান, সহজ যাতায়াতের কারণে বনপাড়ার এই বাইপাস মোড়ের কুলের আড়তটি ক্রমশঃ বৃহৎ হচ্ছে এবং বলা যায় এটিই দেশের সবচেয়ে বড় কুল আড়ত।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন জানান, সরকারী কোন খালি বড় জায়গা না থাকায় মহাসড়কের পাশেই আড়ত গড়ে উঠেছে। যা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে বিকল্প কোন বড় জায়গায় আড়ত স্থানান্তর করা যায় কিনা।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান