২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১৪:০১
আইএসসিজি’র সংবাদ সম্মেলন

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনো ইতিবাচক নয়

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনো ইতিবাচক নয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ শুরু হলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনো ইতিবাচক নয়। তাই এখনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের ৬ মাস অতিক্রম উপলক্ষে রোহিঙ্গা সংকটে গঠিত ইন্টারসেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এর এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে এখনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে দুঃখজনক বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীকেও সহায়তার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানানো হয়।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৬মাস পূর্তি আজ। মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের বেশিরভাগ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বসতবাড়ি ও ভিটে-মাটি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এর আগেরও রোহিঙ্গাদের বিশাল বোঝা রয়েছে বাংলাদেশে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এপর্যন্ত প্রায় ১১লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। গত ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়। গঠন করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। চুক্তিমতে ২ মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ২ মাস পেরিয়ে ৩ মাসে গড়ালেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন। বন্ধ হয়নি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশও। প্রতিদিনই ২ থেকে ৩ শত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশে। কবে থেকে বন্ধ হবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আর কবে থেকে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া; তা অনেকটা অনিশ্চিত।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের কাজ শুরু হলেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি এখনো ইতিবাচক নয়। এখনো মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্রমেই কমে আসছে বিদেশি সাহায্য। আর স্থানীয়দের উপর রোহিঙ্গাদের কারণে ক্রমেই বাড়ছে চাপ। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীকেও সহায়তার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আরো আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করেন রোহিঙ্গা সংকটে গঠিত ইন্টারসেকটর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর