১৯ মার্চ, ২০১৮ ১৮:১৪

আশুলিয়ায় টোকেন দিয়ে রিকশা থেকে চাঁদা আদায়

নাজমুল হুদা ,সাভার:

আশুলিয়ায় টোকেন দিয়ে রিকশা থেকে চাঁদা আদায়

আশুলিয়ায় থানা রিকশা-ভ্যান মালিক সমবায় নামের এক সমিতির বিরুদ্ধে টোকেন দিয়ে অটোরিক্সা থেকে প্রতি মাসে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কের বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত এলাকায় চলাচলরত অটোরিক্সার চালকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে পাঁচশত টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। এ ঘটনায় একাধিক রিকশা চালক আশুলিয়ার জামগড়া ট্রাফিক পুলিশের ইনেসপেক্টর সেকেন্দারের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

জামগড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম নামের এক রিক্সা চালক অভিযোগ করে বলেন, তিনি বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর মহাসড়কে জামগড়া এলাকা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক দিন যাবত ওই এলাকার রিকশা-ভ্যান মালিক সমিতির লোকজন তাকে প্রতি মাসে পাঁচশত টাকা চাদা দেওয়ার কথা বলেন। তবে তিনি চাঁদার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে ওই সমিতির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নিয়ে একটি নম্বর প্লেট ও টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

একই অভিযোগ করে খোরশেদ আলম নামের আরেক রিকশা চালক বলেন, তিনি কয়েক বছর যাবত জামগড়া ও বাইপাইল এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অথচ ওই সমিতির সভাপতি সেলিম সরকারের লোকজন হঠাৎ করেই তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। তিনি বাধ্য হয়েই একটি নম্বর প্লেট ও টোকেনের বিনিময়ে ৭৫০ টাকা পরিশোধ করেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক রিকশা চালকরা অভিযোগ করে বলেন, তারা সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে। অথচ ওই সমিতির নামে তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫শত করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ করে বলেন, সমিতির লোকজন ধামসোনা ইউপি সদস্য ও থানা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়ার প্রভাবে অটোরিক্সা থেকে জোরপূর্বক চাদা আদায় করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে সড়কের উপর রিকশা থামিয়ে মারধর ও রিকশা আটকে রাখাসহ নানা ভাবে হয়রানির স্বাীকার হতে হচ্ছে।

এদিকে এ বিষয়ে রিক্সা-ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতি রিক্সা থেকে ৭৫০ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, তারা জোরপূর্বক নয় স্বেচ্ছায় এসব টাকা উত্তোলন করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন রিকশা চালক তাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে নম্বর প্লেট ও টোকেন নিয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও ইউপি সদস্য ও যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক তাদের সমিতির উপদেষ্টা বলেও তিনি দাবি করেন।

এদিকে এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কেউ তার নাম ব্যবহার করে মিথ্যে কথা বলছে। এছাড়াও তিনি ওই সমিতির উপদেষ্টা তো দূরের কথা সমিতির সাথে তার কোন সম্পর্কও নেই বলে দাবি করেন। তবে কেউ যদি রিকশা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।
তিনি সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর