২১ মার্চ, ২০১৮ ০৮:২২

লামায় কাজ করতে এসে দালালসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি:

লামায় কাজ করতে এসে দালালসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

বান্দরবানের লামায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে এসে ১ দালালসহ ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত ৭টায় লামা পৌর শহরের লাইনঝিরি এলাকা থেকে তাদের আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় স্থানীয়রা।  

আটক রোহিঙ্গারা হল, আয়াত উল্লাহ (২৫) পিতা- মৌলভি হোসেন মোহাম্মদ, জলিল আহাং (২৮) পিতা- মসকুব আহাং, শামসুল আলম (২৫) পিতা- মো. ইউনুচ, রহিম উল্লাহ (২০) মো. হোসেন, মো. রফিক (১৮) আব্দু শুক্কুর, রহমত উল্লাহ (২৪) লালা মিয়া, হাফেজ ইয়াছিন (২২) রহমত উল্লাহ, আব্দুল মোতালিব (১৮) আব্দুল ছোবাহান, পীর মুহাম্মদ (৫২) পিতা- মৃত উলা মিয়া ও মনির আহাম্মদ (২৪) পিতা- ছব্বির মোহাম্মদ। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাসিধং জেলার রাজাবিল এলাকার বাসিন্দা। এদের নিয়ে আসা দালাল আবু ছিদ্দিক (৪৫) লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়ছনখোলা এলাকার মৃত দুধু মিয়ার ছেলে। তাকেও আটক করা হয়। 

রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিগত দেড় মাস যাবৎ তারা রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় কাঠ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজারের শামসুল আলম (পুতু) তাদের উখিয়ার কুতুপালং ও ঠেংখালী শরণার্থী ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসে। রুপসীপাড়ার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহ আলম রোহিঙ্গাদের কাঠ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করে। তারা এই গ্রুপে ২০ জন ছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আসার আগে বাকী ১০ জন সটকে পড়ে। আটক ১০ জনের মধ্যে ৩জন কুতুপালং ও ৭জন ঠেংখালী শরণার্থী ক্যাম্প হতে এসেছে। 

রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে আরো জানা যায়, লামা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় শ্রমিক হিসেবে আরো ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান। 

লামা সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আটক রোহিঙ্গাদের লামা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টা শুনেছি। আমাদের কাছে দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  


বিডি প্রতিদিন/২১ মার্চ ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর