‘২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে রেকর্ড সংখ্যক ৬২৩টি বৈদেশিক জাহাজ ও ৭৫ দশমিক ১৪ মেট্রিক টন পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব আয় হয়েছে ২২৬ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বন্দরের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে ও আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকার পণ্যের। এক সময়ের মৃতপ্রায় বন্দরটিতে কর্মচাঞ্চল্য ও রাজস্ব আয় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।’
আজ দুপুরে ‘মোংলা বন্দরের অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বন্দরের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান। খুলনার অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সাংসদ তালুকদার আব্দুল খালেক। গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ।
সেমিনারে জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বন্দরে ৪৮২টি বৈদেশিক জাহাজ পণ্য নিয়ে আসে। পরবর্তী দুই বছরে বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে গড়ে ২৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পণ্য নিয়ে বন্দরে বৈদেশিক জাহাজ আসে ৫৩৪টি। এর মধ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ মাস ভিত্তিক জাহাজ এসেছে ৮৭টি। চলতি অর্থবছর শেষে জাহাজের সংখ্যা বেড়ে ৭৬২টি হতে পারে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে ঢাকা-মাওয়া-মোংলা মহাসড়ক উন্নয়ন, খুলনা-মোংলা রেললাইন ও মোংলা ইপিজেড সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। একই সাথে মোংলা বন্দর এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হওয়ায় নতুন নতুন পন্য আমদানি-রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে। ভারত-নেপাল-ভুটান ট্রানজিট চালু হলে বন্দর ব্যবহার আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার