২৩ মার্চ, ২০১৮ ১৬:১৩

নরসিংদীতে জমি নিয়ে বিরোধে টেঁটাবিদ্ধ ৫

নরসিংদী প্রতিনিধি:

নরসিংদীতে জমি নিয়ে বিরোধে টেঁটাবিদ্ধ ৫

নরসিংদীর চরাঞ্চল করিমপুরে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় পাঁজ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১০ জন। আজ সকালে সদর উপজেলার করিমপুরের ভগারগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, করিমপুরের ভগারগঞ্জ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো: মোস্তাফা (৩২), আব্দুল হাসেম এর দু’ছেলে আমির আলী (৫৫), জমির আলী (৫০) এবং জহর আলীর ছেলে হবি মিয়া (৭০)।

আহতদের পাঁচ জনকেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আলমগীর হোসেনকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভগারগঞ্জ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন সাথে আধিপত্য ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাচ্চু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিলো। আর এরই জেরে দফায় দফায় তাদের মধ্যে ঝগড়া চলে। এ বিষয়টি নিয়ে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারিছ মিয়া বিষয়টি সমাধানের জন্য দুইবার গ্রাম্য সালিশ বসায়। সালিশে বাচ্চু মিয়ার সাথে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের সমঝোতা করে দেয়। কিন্তু গতকাল নরসিংদী জেলা আওয়ামিলীগের জনসভায় কামাল হোসেন যোগদানের জন্য আসলে বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের সাথে কামাল গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। 

এরই জের ধরে আজ সকালে বাচ্চু মেম্বার তার দল বল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। আহতদের মধ্যে চার জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জনকে আশংকা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জমির আলী বলেন, বাচ্চু মেম্বার নিজের আধিপত্য বিস্তার টিকেয়ে রাখার জন্য কয়েকদিন পরপরই এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। আমরা আইনের সহযোগিতায় বাচ্চু মেম্বারের বিচার চায়। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। 

হবি মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বাচ্চু মেম্বার ও কামালের আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এই নিয়ে প্রায় তাদেরকে গ্রাম্য শালিশের যেতে হত। চেয়ারম্যান তাদেরকে আপোষও করে দিয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে তারা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন, সে সংঘর্ষে আমার হাটুতে টেঁটাবিদ্ধ হয়। ডান পায়ে ও মাথায় আঘাত পাই। 

এ বিষয়টি নিয়ে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারিছ মিয়া বলেন, তাদের এই বিষয়টি সমাধানের জন্য দুইবার গ্রাম্য সালিশে বসানো হয়। সে সালিশে বাচ্চু মিয়ার সাথে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গতকাল নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় কামাল হোসেন যোগদানের জন্য আসলে বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের সাথে কামাল গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই জের ধরে আজ সকালে বাচ্চু মেম্বার তার দল বল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাফফর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। গতকাল নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় কামাল হোসেন যোগদানের জন্য আসলে বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের সাথে কামাল গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই জের ধরে আজ সকালে বাচ্চু মেম্বার তার দল বল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।


বিডি প্রতিদিন/২৩ মার্চ ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর