১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৭:০৭

শিবচরে বিরল প্রজাতির 'তক্ষক' ধরার অপরাধে ৪ জনের কারাদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি

শিবচরে বিরল প্রজাতির 'তক্ষক' ধরার অপরাধে ৪ জনের কারাদণ্ড

বিরল প্রজাতির বণ্যপ্রাণী তক্ষক ধরার অপরাধে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪ জনের প্রত্যেককে ৪ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে মাদারীপুর শিবচরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের আবদুল বারেক শিকদারের বাড়ি থেকে বিরল প্রজাতির প্রাণি তক্ষক উদ্ধার করে।

শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক আমীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তক্ষকসহ বাড়ির মালিক আ. বারেক শিকদার (৩২) তার তিন সহযোগি নাসির মিয়া (২৭), নুরুল ইসলাম ( ৪০) ও রেজাউল করিমকে (৩৫) আটক করে।

পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ যুবকের প্রত্যেককে চার মাস করে জেল দেয়া হয়। 

সাজা প্রাপ্তরা হলো শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের দাদন শিকদারের ছেলে আবদুল বারেক শিকদার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আবদুর রহমান শিকদারের ছেলে রেজাউল করিম, ফরিদপুর সদর উপজেলার জয়চর গ্রামের হেমায়েত হোসেন ছেলে নুরুল ইসলাম  ও শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা গ্রামের নাসির মিয়া।
 
শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক আমির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঠালবাড়ি গ্রামের আবদুল বারেক শিকদারের বাড়িতে বিরল প্রজাতির প্রাণী তক্ষক উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাই। অভিযানের সময় ওই বাড়ি থেকে চারজনকে আটক করি। সেই সাথে একটি তক্ষক উদ্ধার করে শিবচর থানায় নিয়ে আসি।

শিবচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিরল প্রজাতির শেই প্রাণীটি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে কোন বড় ধরণের জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে।  

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহমেদ জানান, আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বিভিন্ন জেলার ওই প্রতারক চক্রটি একত্রিত হয়ে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী ধরে নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই বন্যপ্রাণী রক্ষণ আইনে আটকদের প্রত্যেককে শাস্তি হিসেবে চার মাস করে জেলা প্রদান করা হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর