বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় আড়াই শ’ কাঁচা এবং অর্ধকাঁচা ঘর। উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা এবং বিদ্যুতের ১৩টি খুঁটি। এতে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ। আগামী ২/৩ দিনেও বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল হওয়ার কোন ভরসা দিতে পারছে না স্থানীয় বিদ্যুত বিভাগ।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ২২ মিনিটের দিকে আকস্মিক এই কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপক কুমার রায় জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ২২ মিনিটের দিকে উপজেলার উপর দিয়ে প্রবল বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। দমকা বাতাসের সঙ্গে ঝড় বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর মধ্যে উলানিয়া ও চরএকরিয়া ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরের ঝড়ে উত্তর ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলগোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব তেতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলফাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব সুলতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোলচরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাতারহাট জুবলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দাদপুর পূর্বকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ব্রাক্ষনবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কাঠ-টিনে নির্মিত স্কুলের অবকাঠামো পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। অর্ধপাকা স্থাপনাগুলোর টিনের চালা উড়ে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দাস জানান, ঝড়ে আলফাতুন্নেছা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া করনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফিরনির চর কওমী মাদ্রাসার স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম পারভেজ হোসেন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনের ১৩টি খুঁটি ভেঙ্গে-উপড়ে পড়ে। গাছ পড়ে বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন লাইনের ক্যাবল ছিড়ে যায়। এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুত ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ২/৩দিনের বেশী সময় লেগে যেতে পারে বলে তিনি জানান।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে জেলা প্রশাসনে জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এদিকে ঝড়ে সম্পদ-মালের ব্যাপক ক্ষতি হলেও জনমানবের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মো. আক্তারুজ্জামান।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন