শিরোনাম
২০ এপ্রিল, ২০১৮ ১৫:৫১

ব্রিজ ভেঙে শরীয়তপুর-শিবচর সড়কে যান চলাচল বন্ধ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

ব্রিজ ভেঙে শরীয়তপুর-শিবচর সড়কে যান চলাচল বন্ধ

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আড়িগাঁও এলাকায় কীর্তিনাশা নদীর ব্রিজ ভেঙে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বহনকারী একটি ট্রাক পড়ে গেয়েছে। শুক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে শরীয়তপুর-শিবচর সড়ক দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ২ টার দিকে শরীয়তপুর সদরের মনোহরবাজার থেকে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার নিয়ে একটি ট্রাক বিনোদপুর যাচ্ছিল। রাত ৩ টার দিকে ট্রাকটি তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকার কীর্তিনাশা নদীর সেতুতে উঠলে পশ্চিমপাড়ের বেইলী অংশ নিয়ে ভেঙ্গে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনায় ওই সড়ক দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে।  শরীয়তপুর জেলা সদরের সাথে আশেপাশের ৭ টি ইউনিয়নের ও মাদারীপুরের শিবচরের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

ট্রাকের সহকারি আবুল বাশার জানান, বিনোদপুরে পল্লী বিদ্যুতের একটি স্টেশন হচ্ছে। তার জন্য ট্রান্সমিটার নিয়ে মনোহরববাজার থেকে আসছিলাম। রাত ৩ টার দিকে আড়িগাঁও ব্রিজের বেইলী অংশে ওঠার পর পরই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান বলেন, নদী ভাঙনের কারণে সেতুটির একটি অংশ ঝুকিপূর্ণ ছিল। এ কারণে পাঁচ টনের অধিক যানবাহন না ওঠানোর অনুরোধ ছিল। আমরা সাইনর্বোড ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৫০ টন ওজনের ট্রান্সমিটার নিয়ে ট্রাক সেতুতে ওঠালে এ ঘটনা ঘটে।

শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদরের সাথে মাদারীপুরের শিবচরে সহজে যাতায়াতের জন্য সদর উপজেলার আড়িগাঁও এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে ১০৫ মিটারের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় করা হয়েছিল ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর নদী ভাঙনের কারণে সেতুর আড়িগাঁও প্রান্তের সড়কের ১০ মিটার এ্যাপ্রোজ অংশ ভেঙে পরে। তখন স্থানীয় ইটভাটা ব্যবসায়ীরা মাটি ভরাট করে সেতু দিয়ে যানবাহ চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ২০১৭ সালে পুনরায় ওই অংশ আবার ভেঙে পরে। পরবর্তিতে এলজিইডি ওই অংশে একটি বেইলী সেতু স্থাপন করে দেয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শরীয়তপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে সেতুর এ্যাপ্রোজ বিলীন হয়েছে। ওই অংশে ভাঙন প্রতিরোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেতু থেকে ট্রাক অপসারণের কাজ করা হচ্ছে। ট্রাক সরানো হলে পুনরায় আরেকটি বেইলী স্থাপন করা হবে। তখন যানবাহন চলাচল স্বাভাকবক হবে।


বিডি প্রতিদিন/২০ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর