২২ এপ্রিল, ২০১৮ ১৪:০২

নাটোরে দুই সহোদরের জমজমাট মাদক বাণিজ্য

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে দুই সহোদরের জমজমাট মাদক বাণিজ্য

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই সহোদর ফারুক ও আব্দুল্লাহর জমজমাট মাদক বাণিজ্য চলছে। বড়াইগ্রামসহ পাশ্ববর্তী পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও আটঘরিয়া উপজেলা জুড়ে রয়েছে এ চক্রের শাক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। 

এদের মধ্যে ফারুকের নামে দুটি হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন থানায় মোট ২৫ টি এবং আব্দুল্লাহর নামে আরো ১০টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তাদের মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। তারপরও অজ্ঞাত খুঁটির জোরে অনেকটা প্রকাশ্যেই জমজমাটভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে ফারুক ও আব্দুল্লাহ মাদক বিক্রি থেকে উপার্জিত প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে জোনাইল পাগলা বাজার, চরগোবিন্দপুর গ্রামের আবেদের বাড়ির পাশে, কুশমাইল মোড় ও সন্ধবা বাসস্ট্যান্ডের পাশে জমি কিনে পৃথক তিনটি পাকা বাড়ি তৈরী করেছে। 

স্থানীয়ভাবে সরাইখানা নামেখ্যাত এসব বাড়িতে অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু তারাই নয়, তাদের স্ত্রীরাও এ কাজে পিছিয়ে নেই। কখনও তারা আটক বা এলাকার বাইরে থাকলে স্ত্রীরা তখন মাদক ব্যবসার হাল ধরেন। তাদের মধ্যে ফারুকের স্ত্রী লতিফা খাতুনের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে। 

জানা গেছে, দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে তারা ১০-১২ জন শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শ্রমিকরা প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটো ভ্যান-ভুটভুটিতে করে নিয়মিত ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য কয়েকটি উপজেলার খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পাগলা বাজার ও চরগোবিন্দপুর গ্রামের বাড়ির সামনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মাদকসেবীদের ভীড় জমে।
 
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষক জানান, হাতের কাছে অবাধে মাদক পাওয়ায় বড়রাতো বটেই ইদানিং স্কুল কলেজ পড়ুয়া অনেক ছেলেমেয়েও মাদক সেবন শুরু করেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিত মাসোহারা দেয়ায় তারা এগুলো দেখেও দেখছে না।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি শাহরিয়ার খান জানান, আমরাও তাকে খুঁজছি। কিন্তু আত্মগোপনে থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।


বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর