২২ এপ্রিল, ২০১৮ ১৪:২৬
এক বছরে নির্যাতনের শিকার ২৪৮ নারী ও শিশু

নেত্রকোনা সুরক্ষায় ৭ সংগঠনের মানববন্ধন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনা সুরক্ষায় ৭ সংগঠনের মানববন্ধন

“অনেক হয়েছে প্রতিবাদ, এবার হোক প্রতিরোধ, সারা বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন” এই স্লোগান নিয়ে রবিবার নেত্রকোনাকে সুরক্ষা রাখতে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সংগঠন। সাংবাদিক সমাজ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, মানবাধিকার নারী সমাজ, ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক, সুপ্র এবং স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। বেলা ১১ টায় নেত্রকোনা মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, স্বাবলম্বীর নির্বাহী পরিচালক বেগম রোকেয়া, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোজাম্মেল হক বাচ্চু, সুপ্র’র সভাপতি আলী আমজাদ, লিগ্যাল এইড আইনজীবী ও এনএনপিসির সভাপতি দিলুয়ারা বেগম, মহিলা পরিষদের সম্পাদক তাহেজা বেগম, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নারী নেত্রী কোহিনুর বেগম, মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদের মো. আব্দুল হাই প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, সঠিক বিচারের অভাবে কমছে এ সকল ঘটনা। ৬ থেকে ১০ বছরের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে শুধু মাত্র আইনের প্রয়োগ না থাকায়। এসময় তারা বলেন, ধর্ষণ রোধ করতে ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি চাই। তারা বলেন, আর কোন প্রতিবাদ নয় এবার প্রতিরোধ করতে হবে। 

সঠিক বিচার না হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ ডাক্তারসহ আইনের দুর্বলতা এবং গ্রাম্য সমঝোতাকে দায়ী করেন আইনজীবীরা। তারা আরো বলেন, এসব ঘটনায় আইনজীবীদের পাশাপাশি অবশ্যই পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অপরাধীরা প্রভাবশালী হলেই তাদের সাথে পুলিশ এবং ডাক্তারের সখ্যতা গড়ে উঠে। ফলে বিচারহীনতায় হতাশ হয়ে পড়েন বিচার প্রার্থীরা। 

উল্লেখ্য, গত এক বছরে জেলায় হাসপাাতল সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে মোট ২৪৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হন। এর মধ্যে নারী ২০০ জন এবং বিভিন্ন বয়সের শিশু ৪৮ জন। ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেল সূত্র থেকে পাওয়া যায়, জানুয়ারী ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৫৭ জন নারী ও ১৬ জন শিশু। মানসিক নির্যাতনের শিকার ১ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৪ নারী ও ১৭ জন শিশু। পয়জনের শিকার হয়েছেন ১৮ নারী ও ১২ জন শিশু। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ১ জন শিশু। বাল্য বিবাহের শিকার ১ জন। 


বিডি প্রতিদিন/২২ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর