২২ এপ্রিল, ২০১৮ ২১:২৮

কুমিল্লায় পায়ুপথে ইয়াবা পাচারকালে সীমান্তে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় পায়ুপথে ইয়াবা পাচারকালে সীমান্তে এক ব্যক্তির মৃত্যু

ভারত থেকে পায়ুপথে একটি প্যাকেটে করে ২৩৫ পিস ইয়াবা নিয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর অচেতন হয়ে পড়া জালাল হোসেন (৩৭) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। 

আজ বিকালের দিকে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ভারত-সীমান্তবর্তী শাহপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে জেলার চান্দিনা উপজেলার খিরাশার মহনপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই মরদেহটি সদর হাসপাতালে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জালাল হোসেন রোববার বিকালে ভারত সীমান্তবর্তী কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার শাহপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় লোকজন ও বিজিবি টহল দলের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বিজিবি’র গাড়িতে তোলার সময় জালাল হোসেনের পায়ুপথ থেকে ইয়াবা ভর্তি নীল রংয়ের একটি প্যাকেট বের হয়ে আসে। তখন ইয়াবাসহ তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম সামদানী রাব্বি জানান, সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। পায়ুপথে ইয়াবা বের হয়ে আসার বিষয়টি জেনে তার পেটে আর কোন কিছু আছে কি-না তা জানার জন্য এক্স-রে করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। 

কুমিল্লাস্থ ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারওয়ার জানান, ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে সীমান্তের শাহপুর এলাকায় প্রবেশের পর সে ‘আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনসহ বিজিবি সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। এসময় তার পায়ুপথ থেকে মলসহ ইয়াবা ভর্তি নীল রংয়ের প্যাকেট বের হয়ে আসে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে বিজিবি কর্তৃক ধাওয়া খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, সুরতহালে তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে পায়ুপথে আনা প্যাকেটে ২৩৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। 
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সোমবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। তার বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় মাদক আইনে একটি মামলা রয়েছে। 

এদিকে, জালাল হোসেনের বড় ভাই দুলাল হোসেন বলেন, জালাল এর আগেও দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। জালাল দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর শ্বশুর বাড়ি বিবির বাজার সীমান্তের শাহাপুর। তিনি শ্বশুর বাড়ি গিয়েছেন। জালাল কখনো ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন বা বিক্রয়ের সাথে জড়িত ছিলেন না। 

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর