২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১৬:০৫

যুবলীগ নেতার সরকারী পশু হাসপাতাল দখলের চেষ্টা

এলাকাবাসীর প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে ভাংচুর

নাটোর প্রতিনিধি

যুবলীগ নেতার সরকারী পশু হাসপাতাল দখলের চেষ্টা

নাটোরে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম কালিয়া ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে একটি ইউনিয়ন সরকারী পশু হাসপাতাল (কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র) দখল করে নিজ কার্যালয় বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের বাধায় ব্যর্থ হয়ে তারা সেখানে ভাংচুর চালায় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার দুপুরে হঠাৎ করেই নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের শংকর ভাগ এলাকায় এ ঘটনাটি  ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম কালিয়া উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

নাটোর প্রাণী সম্পদ অফিসের ভ্যাটেনারী ফিল্ড এসিন্টেন্ট মজিবুর রহমান জানান, যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম কালিয়া তার নিজ কার্যালয় বানাতে তার সমর্থকদের নিয়ে শংকর ভাগ এলাকার পশু হাসপাতাল (কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র) দখল করার জন্য তারা হাসপাতালের প্রজননকর্মী আব্দুল আজিজকেও বের করে দেন। এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী এলাকাবাসীকে নিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে দখলে ব্যর্থ হয়ে কালিয়া ও তার লোকজন ওই হাসপাপতালের আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাদের হুমকি ধামকি চলে যান। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আট নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সম্প্রতি যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম কালিয়া শংকর ভাগ হাটের ইজারা পেয়েছেন। তারপর থেকেই স্থানীয় ইউনিয়ন সরকারী পশু হাসপাতালের ওই ঘরটি তার নিজের দখল নেয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। রবিবার দুপুরে হঠাৎ করেই কালিয়া এবং তার বাহিনী ওই ঘরটি দখল করার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে চলে যেতে বাধ্য হন। এসময় তারা অফিসের কিছু জিনিসপত্র ভাংচুর করেন। 

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম কালিয়া বলেন, ভাংচুর ও দখলের বিষয়টি মোটেই সঠিক না। শংকর ভাগ হাটটি ইজারা পাওয়ার পর সেখানে তাদের কার্যক্রম চালানোর সুবিধার্থে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা সরকারী ওই ঘরটি সংস্কার করা হচ্ছিল। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে তার বাবা ওসমান গণি ভূঞার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যারা হেরে গেছেন তাদেরই কিছু লোকজন রাজনৈতিক উদেশ্য হাসিল করতে তাদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের চেষ্টা করছেন। 

নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার মো. মশিউর রহমান জানান, খবর পাওয়ার পর পরই শংকর ভাগে পুলিশ পাঠিয়ে এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর