২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ১৮:১৭

পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি চায় না সরকার: ত্রাণ মন্ত্রী

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি চায় না সরকার: ত্রাণ মন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতি চায়না সরকার। তার জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০১৭সালে ১৩জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের যে ক্ষতি হয়েছিল। সে ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব না। তবে পাহাড় ধসে নতুন করে আর কোন ক্ষতি যাতে সাধিত না হয় তার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত পাহাড় ধস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সর্ম্পকিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, বিশেষ কতগুলো কারণে পার্বত্যাঞ্চল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার মধ্যে কিছু কিছু কারণও ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা বন্যা, পাহাড় ধস, ভজ্রপাত ও ভূমিকম্প। এসব কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ। এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষ আগাম প্রস্তুত থাকলে যে কোন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব।


রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, ত্রাণ মন্ত্রণায়ের সচিব শাহ কামাল, সাবেক পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর কবির প্রমুখ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া  আরও বলেন, সরকার পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের সব খবর রাখেন। কখন কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে, কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে, কোথায় দুর্যোগ হচ্ছে। এসব ঘটনায় আবার কোথায় কোথায় ত্রাণ প্রয়োজন হতে পারে, সব বিষয়ে সরকারের নজরদাঁড়ি রয়েছে। বিগত সময়ে অনেক সরকার আসছে গেছে, কেউ পাহাড়ে মানুষের খবর রাখেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার সব সময় পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের পাশে ছিল, আছে আর থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে গেলে রাতে হলেও সরকার ফোন দিয়ে জানতে চাইবে ‘আমার রাঙামাটির মানুষ কেমন আছে’। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট একের পর এক দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঈর্শান্বিত হয়ে দেশকে পিছিয়ে নিতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা কখনোই সফল হবে না। সরকার তা হতে দিবেনা। তাই প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট সব ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
 
এসময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় ২০লাখ টাকাও  ৫০০বান্ডিল টিন প্রদান করেন।
 
এ আগে পাহাড় ধস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে রাঙামাটি পৌরসভা থেকে বিরাট র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে দুযোর্গ মোকাবেলায় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ২/৩শ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর