২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ১৬:৫৬

কালীগঞ্জে জমি দখল করে ইউপি মেম্বারের জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কালীগঞ্জে জমি দখল করে ইউপি মেম্বারের জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় রাজপাড়া গ্রামে পার্শ্ববর্তী বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বার্থে অন্যের জমি দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মো. ইসমাইল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার রাজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইসমাইল হোসেন, সাফিউদ্দিন, হাফিজউদ্দিন, গিয়াসউদ্দিন, সুরুজ মিয়া, সফিকুল ইসলাম ও মোসলেমা খাতুনের মূলগাঁও মৌজার আর.এস ২৮, ২০৫ ও ৩১৪ খতিয়ানে ২৬, ২৯, ৩০, ৩১ ও ৮২ দাগে ১৫০ শতাংশ ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমি। কিন্তু গত ৩১ মার্চ বিকালে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৭০/৮০ জন ভাড়াটিয়া লাঠিয়ালসহ মাটি কাটার ভেকু নিয়ে হামলা চালায় এবং ১৫০ শতাংশ জমির প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ইরি ধান ও সবজি খেত বড় বড় গর্ত করে মেম্বারের মুরগী খামারের জন্য ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ রাস্তা নির্মাণ করে। জমির মালিকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে মেম্বারের ভাড়াটে বাহিনী তাদের মারধর এবং ভেকু দিয়ে রাস্তার সাথে পিশে দেওয়ার হুমকি দেয়। 

ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা পুরনো সরকারী হালট ছিল। দীর্ঘদিন অরক্ষিত থাকার ফলে ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু এলাকার মানুষের অনুরোধে পুনরায় রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পৌর এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা করতে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন লিখিত অনুমতি না মৌখিকভাবে পৌরসভার কাছে অনুমতি নিয়েছি। তবে কোন বরাদ্ধ থেকে এই রাস্তা করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান। 

এব্যাপারে বাহাদুরসাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। 
কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মো. লুৎফুর রহমান জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কখনো জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করে না। আর সরকারী হালট হলে ওই মেম্বার কাগজপত্র দাখিল করুক। তবে কারো ক্ষতি করে রাস্তা নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। আর রাস্তা নির্মানের ব্যাপারে পৌরসভার কাছেও কোন অনুমতি নেয়নি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং ওই ইউপি মেম্বারকে গর্ত করা কৃষি জমি মাটি দিয়ে ভরাটের নির্দেশ দিয়েছি।  পাশাপাশি যে জমিতে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে তা সরকারী হালট কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য এসিল্যান্ডকে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পেয়ে তদন্ত কাজ চলছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর