২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:০৬

নোয়াখালীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরোর আবাদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বোরোর আবাদ

গভীর নলকূপসহ উন্নত সেচ ব্যবস্থা ছাড়াই চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চরম ঝুঁকি নিয়ে বোরো ধানের ব্যাপক চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। চৈত্রের খরায় মাঠের পর মাঠ শুকিয়ে গেছে। তারপরও সাহস হারায়নি কৃষকরা। টিউবওয়েল, পুকুর, খাল-বিল থেকে পানি নিয়েই বোরোর শক্তি যুগিয়েছেন।

জেলা সদরের একরামুল করিম চৌধুরী বাজার এলাকার বোরো চাষী মো. খুরশিদ আলম জানান, এই চরে অতীতে কখনো বোরো চাষ হতো না। এখানকার কৃষকরা শুধু আউশ চাষে সীমাবদ্ধ ছিলো। শুকনো মৌসুমে তারা বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। ফলে এখানকার জমিগুলো পতিত পড়ে থাকতো। তিনি বলেন, এই এলাকায় গভীর নলকূপসহ উন্নত সেচ ব্যবস্থা না থাকার পরেও ঝুঁকি নিয়ে বোরো চাষ করেছেন কৃষকরা। 

কৃষকরা জানান, এবার বোরো চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তারা। গভীর নলকূপ স্থাপনসহ কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে এই এলাকায় আগামীতে সবগুলো পতিত জমি বোরো চাষের আওতায় চলে আসবে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার জেলায় মোট ৫৯ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রায় ৭৩ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনকূলে থাকায় এ জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকা বোরো ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা। বোরোর ফলনের দিক বিবেচনায় নোয়াখালীতে চাষাবাদকৃত জমি থেকে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৪ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতি.) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সদর ও সুবর্ণচর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও তদারকি থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.আবুল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে  জেলার চরাঞ্চল ও পতিত জমিসহ সর্বমোট ৫৯ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ৭৩ হাজার ২শ' হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত বোরোর বাম্পার ফলনের আশাবাদ করছেন এ কর্মকর্তা। পাশাপাশি ভালো ফলনের পিছনে কৃষি বিভাগের ভূমিকা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর