২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:৫৯

বাংলাবান্ধায় পরীক্ষামূলক ত্রিদেশীয় বাস চলাচল শুরু

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

বাংলাবান্ধায় পরীক্ষামূলক ত্রিদেশীয় বাস চলাচল শুরু

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থল বন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত ও নেপালের সাথে পরীক্ষামূলক বাস যোগাযোগ শুরু হয়েছে।  ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালের ৪০ জন প্রতিনিধি গত সোমবার ঢাকার কল্যাণপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর একদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এসময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে তাদের ফুলেল সংবর্ধনা দেয়া হয়।  

বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ভূইয়ার নেতৃত্বে ত্রিদেশীয় উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের শিলিগুড়িতে রাত্রীযাপন শেষে নেপালের কাঠমুন্ডুর দিকে যাত্রা করবে বুধবার।  স্থানীয়রা মনে করছেন এই বাস যোগাযোগ স্থাপন হলে ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে ব্যপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। 

বিকেলে ৫টায় প্রতিনিধি দল নিয়ে বাস দুইটি বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাস দুইটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, উপসচিব, ভারত ও নেপালের প্রতিনিধি, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রতিনিধিসহ ৪০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্টের (বিবিআইএন এমভিএ) আওতায় সড়ক যোগাযোগে যাতায়াতের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে মতামত দিবেন। ২০১৫ সালে ভূটানের থিম্পুতে চতুর্দেশীয় সড়ক যোগাযোগের এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

 প্রতিনিধি দল সূত্রে জানা গেছে, এই ভ্রমণে তারা ভাড়া নির্ধারণ, যাত্রাবিরতির স্থান নির্বাচনসহ অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করবেন।  বাংলাদেশে অবস্থিত নেপাল দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে সে দেশের প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। বাংলাদেশের সাথে নেপালের বাণিজ্যও দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করছেন এবং তার সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিবছর কয়েক হাজার নেপালী গবেষক, পর্যটকসহ বৌদ্ধ ধর্ম পিপাসুরা বাংলাদেশের বগুড়ার মহাস্থানগড়, অতীশ দীপংকরের জন্মস্থান ভ্রমণ করেন। একই সাথে বাংলাদেশ ভারতের বিপুল সংখ্যক পর্যটক দুই দেশ ভ্রমণ করেন। বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর থেকে ভারতের দার্জিলিং এর দুরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পর্যটকও এই দুই দেশ ভ্রমণ করেন। এই বন্দর দিয়ে সড়ক পথে যোগাযোগ চালু হলে সব ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। 

বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ভূইয়া জানান, মূলত চার দেশ নিয়ে বিবিআইএন চুক্তি হবে। ভূটান এখনো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই তিন দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের জন্য আমরা পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেছি। এই ভ্রমণে আমরা সড়ক যোগাযোগের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবো। 

 

বিডি প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর