নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে রাস্তায় নেমেছেন প্রভাবশালী দুই সাংসদ সহোদর শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান। এর মধ্যে সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ -৫ ও শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি। আজ সকাল থেকে এ দুই সাংসদ ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী, মাসদাইরসহ আশেপাশে এলাকার জলাবদ্ধতা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তা দূরীকরণে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ওই সময় তাদের উপস্থিতিতে ভেকু দিয়ে খাল খনন শুরু হয়।
এ সময়ে দুই সাংসদ কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন ভাবেই পানি নিস্কাশনের খাল দখল করা যাবে না। যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন, খাল দখল করে স্থাপনা করলে সেটা উচ্ছেদ করতে হবে।
তারা আরো বলেন, এখনো বর্ষা শুরু হয় নাই। আগামীতে বৃষ্টির মৌসুম আসছে। এখন থেকে আমাদের সচেতন ও সচেষ্ট হতে হবে। কোন অবস্থাতেই খাল দখল করতে দেওয়া হবে না। পানি নিস্কাশনের খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে।প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে কল্যাণী খালসহ শাখা খালগুলো দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ অর্ধ-শতাধিক স্থাপনা। এতে খাল সরু হয়ে ময়লা-আবর্জনা জমে সদর উপজেলা ও ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরবাসী।
স্থানীয়ভাবে যেটি কাইল্যানী খাল নামে পরিচিত। ফতুল্লার মাসদাইর পুলিশ লাইন থেকে শুরু হওয়া এই খাল শাসনগাঁও হয়ে কাশিপুর বুড়িগঙ্গা নদীতে মিশেছে। এক সময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত এই খালে। কিন্তু কালের বিবর্তনে খালটি বেদখল হয়ে যাওয়ায় এখন জরাজীর্ণ। অবৈধভাবে দোকানপাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান আর দ্বি-তল ভবন গড়ে তোলায় খালটিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাসদাইর, শাসনগাঁও, ফাজিলপুরসহ কয়েকটি শিল্পনগরীর রাস্তায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিল্প মালিকরা অবৈধভাবে খাল দখল করায় পানি বুড়িগঙ্গায় পৌঁছাতে পারে না।ফলে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীসহ কয়েক লাখ শ্রমিককে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
