২৩ মে, ২০১৮ ১৬:৩১

ফরিদপুরে কেটে নেয়া সরকারি গাছ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে কেটে নেয়া সরকারি গাছ উদ্ধার

ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারের কেটে নেয়া সরকারী তিনটি মেহগনি গাছের অংশ অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম ধুলদি রেলগেটস্থ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশ থেকে তিনটি গাছের কাটা ১৮টি অংশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এর আগে মঙ্গলবার বড় তিনটি অংশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী ও মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা শিবরামপুর-বাহিরদিয়া এলজিইডি সড়কে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বড় আকারের তিনটি মেহগনি গাছ কেটে নেয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে গাছ উদ্ধারে মাঠে নামে জেলা পরিষদ। সরকারি গাছ হজম করতে না পেরে অবশেষে মাচ্চর ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাউসার শেখের মাধ্যমে গাছ গুলো জেলা পরিষদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কাউসার মেম্বার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন গাছ গুলো বুঝিয়ে দেবার জন্য। সেজন্য আমি গাছ বুঝিয়ে দিতে এসেছি। আমি গাছ কাটার সাথে জড়িত নই।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার রশিদ মোল্যা গাছ গুলো কেটে নেয়। আমরা বাধা দিলে সে চেয়ারম্যানের কথা বলে। ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার মিলে গাছ গুলো হজম করতে চেয়েছিল। তাদের দাবি সরকারী রাস্তা থেকে যে মেহগনি গাছ গুলো কাটা হয়েছে সেই গাছ গুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত গাছের সাথে কেটে নেয়া গাছের কোন মিল নেই।
গাছ কেটে নেবার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী বলেন, তিনটি গাছের মধ্যে দুটি গাছ ঝড়ে পড়ে ছিল। একটি গাছ কাটা হয় সড়কের কালভার্ট করার কারণে। তিনটি গাছই আমরা নিজেদের তত্বাবধানে রেখে ছিলাম।
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম জানান, মাচ্চর ইউনিয়নের কাটা গাছ গুলোর কয়েকটি অংশ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় বাকি গুলো বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে। মাচ্চর ইউনিয়নের মেম্বার কাউসার শেখ আমার কাছে গাছের ১৮টি অংশ বুঝে দেয়।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অধিকার চেয়ারম্যান-মেম্বারের নেই। তারা আমাদের এবং বন বিভাগকে না জানিয়ে কেন গাছ গুলো কাটলো এবং কেনই বা আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিলো সেটা বোধগম্য নয়। গাছ কাটার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর