২৩ মে, ২০১৮ ১৮:৩১

ঝড়ে বিধ্বস্ত রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মাস ধরে পাঠদান বন্ধ

দ্রুত সংস্কার না হলে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ঝড়ে বিধ্বস্ত রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মাস ধরে পাঠদান বন্ধ

বরিশালের আগৈলঝাড়ার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় পর গত এক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান বন্ধ রয়েছে। রোজার মধ্যে স্কুলের অবকাঠামো পুনরায় দাঁড় করাতে না পাড়লে ছুটি শেষ হলে ষষ্ঠ শ্রেণির দুটি শাখার ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। এতে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার উপর দিয়ে আকস্মিক  কাল বৈশাখী ঝড় রয়ে যায়। ওই ঝড়ে প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার ক্ষতির সাথে রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের নির্মিত ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও অপর একটি টিনসেড ঘর ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। 

বিধ্বস্ত টিনসেডের ওই শ্রেণিকক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির দুটি শাখার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হতো। ঝড়ে মূল ভবনের অপর টিনসেড ঘরের টিনের চালাসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্কুল বিধ্বস্ত হওয়ার পর কিছুদিন বিদ্যালয়ের মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ করানো হলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির কারণে তাদের পাঠদান সম্পূর্নরূপে বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি বিজ্ঞান ভবন থাকলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুয়ে পানি পরে বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, রোজার ছুটির পর ক্লাস শুরু হলেও ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষ না থাকায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু স্কুল সংস্কারের কোন আলামত মিলছে না। তাছাড়া বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য দশটি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন থাকলেও বর্তমানে কক্ষ আছে মাত্র চারটি। এই চারটি শ্রেণীকক্ষেই গা ঘেঁষে কোন রকমে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। 

আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বরিশালের জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। সংস্কার বা নির্মান দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। নতুন ভবন বরাদ্দের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সচিব ও রাষ্টদূত আব্দুল মান্নান হাওলাদার ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফলাফলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৯২.৮ শতাংশ।

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর