বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত দুই নেতা ও আট সদস্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করেছে শ্রমিকরা। সংগঠনটির ১৫৪ জন সদস্যের মধ্যে অধিকাংশই এই কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন। শনিবার জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্যান্য দফতরে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আহ্বায়ক ইউসুফ আলী জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটির সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সমিতির সদস্যদের আয়-ব্যয়ের কোন হিসাবই দেননি। প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ ট্রাক আসে। ট্রাক প্রতি শ্রমিক ইউনিয়ন ৩০ টাকা করে চাঁদা দেয়। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালগামী প্রতিটি পণ্যবাহী যানবাহন থেকেও একই পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। এভাবে গত ৯ মাসে শ্রমিক ইউনিয়নের আয় হয়েছে ২৫ লাখ টাকারও বেশি। কিন্তু আয়ের কোন টাকাই শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় না করে পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা এসব জানতে পেরে তাদের প্রতি অনাস্থা এনেছে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এই স্থলবন্দরে ইজারাদারের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে কুলি-শ্রমিকরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। শ্রমিকদের একটি বড় অংশের দাবি, শ্রমিক নেতারা ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ও একটি বড় সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজশে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগের চেষ্টা করছেন। এর ফলশ্রুতিতে শ্রমিকদের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেক শ্রমিক হতাশও হয়ে পড়েছেন।এ বিষয়ে বিলুপ্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি নির্বাচিত কমিটিকে ইচ্ছে করলেই তো আর অনাস্থা এনে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা যায় না। কোন অভিযোগ থাকলে রাজশাহী শ্রম অধিদফতর থেকে তদন্ত হওয়ার পর তারা ব্যবস্থা নিবে। আর অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে শ্রমিকরা যে অভিযোগ করেছে তা প্রমাণ করতে বলেন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ মে, ২০১৮/ফারজানা