শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান গ্রামের নির্মান শ্রমিক মোস্তফা ব্যাপারীকে (৪০) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ছিল উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক তন্ময় খান ও তার চাচা সুজন খানের বিরুদ্ধে। ওই যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে মারা যান।
ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান গ্রামের জনাব আলী ব্যাপারীর ছেলে মোস্তফা ব্যাপারী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই গ্রামের সুজন খানের সাথে কাজ করা নিয়ে তার বিরোধ হয়। এরই জেরে গত মঙ্গলবার রাতে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক তন্ময় খান তার লোকজন নিয়ে ওই যুবককে মারধর করেন। আহত অবস্থায় গত বুধবার তাকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনদিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তিনি মাা যান।
এ ঘটনায় ওই যুবকের শ্বশুর আলী চাঁন সরদার ডামুড্যা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তন্ময় খানসহ চার ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে। মামলার পর থেকে তন্ময় খান ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছেন।তন্ময় খানের বাবা মোক্তার হোসেন খান স্থানীয় দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, সুজনের সাথে মোস্তফার বিরোধের বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তন্ময়কে মামলায় আসামী করা হয়েছে। পারিবারিক প্রয়োজনে তন্ময় ঢাকায় রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে সোকাবেলা করব।
মোস্তফা ব্যাপারীর ভাই হানিফ ব্যাপারী বলেন, সামন্য একটি বিষয় নিয়ে তন্ময় ও সুজন আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে। রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও তিনি জানান।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ মে, ২০১৮/মাহবুব