১৭ জুলাই, ২০১৮ ১২:৫১

মোরেলগঞ্জে দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি, থামেনি নদী ভাঙন

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:

মোরেলগঞ্জে দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি, থামেনি নদী ভাঙন

অমাবস্যার প্রভাব, বৃষ্টি ও মৌসুমি বায়ুর চাপে পানগুছি নদী ও তৎসংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেড়ে গেছে। ফলে পানগুছি নদীর তীরবর্তী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ কয়েকটি গ্রামের দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেড়েছে পানগুছি নদীর ভাঙনও। 

পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় পৌরসভার ১, ২, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে জোয়ারের পানিতে কমপক্ষে ৩ শ’ পরিবারে রান্না বন্ধ হয়ে গেছে।  ১ নং ওয়ার্ডে পিচ ঢালাই রাস্তা ধ্বসে গেছে, ডুবে গেছে ফেরিঘাট, এসিলাহা উচ্চবিদ্যালয়ের শেণিকক্ষ ও মাঠ। 

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, গাবতলা ও কাঠালতলা গ্রামের একটি রাস্তা নদীতে গর্ভে চলে যাওয়ায় ৩শ’ ৩০টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ডুবে গেছে গাবতলা কমিউিনিটি ক্লিনিক, গিয়াসিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। 

তেলিগাতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, এ ইউনিয়নের হেড়মা, মিস্ত্রীডাঙ্গা ও হরগাতী গ্রামের ১৫শ’ পরিবার গত তিন দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছে। ধসে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তা। 

হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী বদনীভাঙ্গা, পাঠামারা ও সানকিভাঙ্গা গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া, খাউলিয়া, মধ্যবরিশাল ও সন্ন্যাসী গ্রামে। 

এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ সদরসহ ৬ ইউনিয়ন ঝুঁকির মধ্যে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী ভেড়িবাঁধ প্রয়োজন। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর