১৭ জুলাই, ২০১৮ ১৬:০৯

দিনাজপুরে করতোয়া নদীতে ভাঙন, কয়েকশ পরিবার হুমকির মুখে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে করতোয়া নদীতে ভাঙন, কয়েকশ পরিবার হুমকির মুখে

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করতোয়া নদীর ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে কৃষি ফসলি জমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভাঙনে কয়েকশ পরিবার এখন হুমকির মুখে। খননের মাধমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারলে ভাঙন থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে বলে স্থানীয়রা। 

বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেন জানান, নদী ভাঙনের কবলে গ্রামগুলো হল নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউপির করতোয়া নদী ঘেষা ভোটারপাড়া, কাঁচদহ, উ. কাঁচদহ, উ. মাঝিপাড়া ও দ. মাঝিপাড়া।

নবাবগঞ্জের উত্তর থেকে ঘৃনাই ও যমুনাশ্বরী নদী এসে ভোটারপাড়া এলাকায় করতোয়ায় মিলিত হয়ে পানির তীব্র স্রোতে এসব ভাঙন হয়ে থাকে।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, করতোয়া নদীর প্রবাহ ছিল তাদের গ্রামের প্রায় ১ কিমি পূর্ব দিক দিয়ে। ভাঙতে ভাঙতে এখন কয়েক বছরে গ্রাম পর্যন্ত ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে করে অনেকের বাড়ী-ঘরসহ জায়গা জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। আবার নদী ভাঙনে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে ভোটারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মুনছুর আলী, ইয়াকুব আলীসহ প্রায় ৫০জন পরিবারকে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হুমকির মুখে রয়েছে ওই গ্রামের আজিজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য গ্রামের কয়েকশ পরিবার। এছাড়াও ভাঙনের কবলে কৃষি জমি, ঘরবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ অনেক প্রতিষ্ঠানও হুমকির মুখে।

এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রতিবছর নদী যেভাবে গ্রাস করছে তাতে শুধু ওই গ্রামগুলোই নয়, নদীর গতি পরিবর্তন করতে না পারলে ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুও ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, নদীর পূর্বে যেদিক দিয়ে প্রবাহিত ছিল সেদিকে প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রায় ১ কিলোমিটার নদী খনন করতে হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ও বিস্তুর আলোচনা হয়েছে।

এদিকে, গত ১৬ জুলাই ক্ষতিগ্রস্থ ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেফাউল আজম, প্রকৌশলী মো. আঃ কুদ্দুস, বন কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার, বরেন্দ্র উপ-সহকারী মোকছেদ আলী, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহ জিয়াউর রহমান মানিক প্রমুখ।
 
ইতিমধ্যে নদী ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। পরিদর্শনকালে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উ-সহকারী প্রকৌশলী এম.এ রউফ ও আঃ মালেক হাওলাদার জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর