শিরোনাম
১৭ জুলাই, ২০১৮ ১৮:৪৭

মাদারীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

মাদারীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন

অঞ্জনা মন্ডল

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি এলাকায় বাবুল মজুমদারের বাড়িতে এক নারী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন করছেন। দাবি মেনে না নিলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনার পর থেকে ছেলের বাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে সটকে পড়েছে। 

জানা গেছে, কদমবাড়ি এলাকার বাবুল মজুমদারের ছেলে মিহির মজুমদারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে অঞ্জনা মন্ডল নামের এক তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ে হলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি দেয়নি মিহির। এ কারণে স্থানীয় শালিশের মাধ্যমে কয়েক মাস আগেও কয়েক দফা বৈঠক বসলেও নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে ছেলের পরিবার।

অনশনকারী নারী অঞ্জনা মন্ডল জানান, মিহির মজুমদারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থেকেই ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বরের রাজৈর কালী মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে বিয়ে করেন এবং গত ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর মাদারীপুর জজ কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ করা হয়। কিন্তু মিহিরের বাবা বাবুল মজুমদার বিষয়টি মেনে নিতে চাচ্ছে না এবং বিষয়টি ধামাচাপা ও তালাক দেয়ার জন্য তাকে এর আগেও শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তিনি স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশন করছেন। দাবি মেনে না নিলে আত্মহত্যারও ঘোষণা দেন তিনি। 

অঞ্জনা মন্ডল বলেন, মিহিরের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক থেকেই দু'জনের ইচ্ছে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমরা ঢাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। পরে আমার শ্বশুর ইউপি মেম্বার আমাদের বুঝিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।  সর্বশেষ গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে একমাসের সময় চায় সমস্য সমাধানের। কয়েক মাস পার হলেও কোন ফল না পেয়ে আমি এখানে শ্বশুর বাড়িতে আসতে বাধ্য  হয়েছি। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে জানতে চাইলে প্রতিবেশিরা কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। 

এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সালিশের সময় ছিলেন এবং মেয়েটিকে সীকৃতি দেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ছেলের বাবা ইউপি সদস্য হওয়ায় কারো কথায় কর্নপাত করেনি। এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে আইনের সাহায্য নেয়া উচিৎ।

মেয়ের খালাতো ভাই ভবোতোষ সরকার বলেন, মিহিরের স্ত্রী যে অঞ্জনা মন্ডল তার আইনগত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমি চাই আমার বোনকে স্ত্রীর মর্যাদা যেন দেয়া হয়। তা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এ ব্যাপারে মিহিরের পিতা বাবুল মজুমদারের (ইউপি মেম্বার) সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, আমরা বিষয়টি জানতাম না। এখন জেনেছি তাই আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে সকল প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিডি প্রতিদিন/১৭ জুলাই ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর