শিরোনাম
২৩ জুলাই, ২০১৮ ১৯:৪০
কয়লা গায়েবের ঘটনা তদন্তে দুদকের কমিটি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধে বেড়েছে লোডশেডিং

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধে বেড়েছে লোডশেডিং

সংগৃহীত ছবি

দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রংপুর অঞ্চলে বেড়েছে লোডশেডিং আর লো-ভোল্টেজ। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি নেই এবং তীব্র গরমে নাকাল দিনাজপুরসহ রংপুর অঞ্চলের মানুষ।

তবে, সাধারণ মানুষ বলছেন সরবরাহ লাইনে ধীর গতির কারণে লোডশেডিং এবং লো-ভোল্টেজের দুর্ভোগের কথা। যার প্রভাবে লোকশানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা।

এদিকে, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা গায়েবের ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার থেকে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। 

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেক্ট্রি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড নেসকো'র রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই উত্তরাঞ্চলে সরাসরি কোনো প্রভাব না পরলেও সরবরাহ লাইনে ধীর গতির কারণে লো-ভোল্টেজের বিড়ম্বনা হবে। রংপুর অঞ্চলের এর প্রভাব পড়বে। 

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা। কিন্তু বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কয়লার সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় গত ২৯ জুন বন্ধ হয়ে যায় ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিট। 

অপর ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি ইউনিট এর আগে জেনারেল ওভার হেলিং কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয়। কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রবিবার রাতে সেটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার হদিস নেই। এ ঘটনায় ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় পেট্রোবাংলা এক অফিস আদেশে খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে অপসারণ করে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দফতরে সংযুক্ত করা হয় এবং মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কোম্পানি সচিব) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। 

বড়পুকুরিয়া খনির ইয়ার্ড থেকে কয়লার গরমিল ঘটনায় পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং রবিবার থেকে তারা কাজ শুরু করেছে। 

অপরদিকে, বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খানকে।

বিডি প্রতিদিন/২৩ জুলাই ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর