১৪ আগস্ট, ২০১৮ ১২:৫১

বড়াইগ্রামে খাল খনন না করে বরাদ্দ আত্মসাৎ

উল্টো গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায়

নাটোর প্রতিনিধি:

বড়াইগ্রামে খাল খনন না করে বরাদ্দ আত্মসাৎ

নাটোরের বড়াইগ্রামে খাল খনন না করে বরাদ্দের প্রায় তিন লাখ টাকার পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উল্টো প্রকল্প সভাপতি খালের ভেতরের আগাছা পরিষ্কার ও কয়েকটি হাল্কা মাটির বাঁধ অপসারণের জন্য গ্রামবাসীর কাছ থেকে ২০০-৩০০ টাকা হারে আরো প্রায় ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়নের ভবানীপুর বিলের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ‘ভবানীপুর বিল থেকে ওয়ালিয়া বড় নদী অভিমুখে খাল খনন প্রকল্পের’ জন্য টেস্ট রিলিফের (টি আর) ৯ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্প সভাপতি ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য কামাল হোসেন খালের কোথাও কোন খনন কাজ করেননি। খাল খনন না করলেও কাগজ-কলমে কাজ হয়েছে দেখিয়ে বরাদ্দের প্রায় তিন লাখ টাকার পুরোটাই তুলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সভাপতি ও চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদসহ অন্যান্যরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

এদিকে, প্রকল্প সভাপতি খাল খনন না করে শুধুমাত্র একদিন ১৭ জন শ্রমিক নিয়ে খালের ভেতরে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও তিন জায়গায় মাটির তৈরী অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ করেছেন। তবে তিনি জলাবদ্ধতার শিকার গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে এসব শ্রমিকের মজুরী পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

এ ব্যাপারে ভবানীপুর গ্রামের রাখি বেগম ও তহমিনা খাতুন জানান, আমরা খালে কোন মাটি কাটতে দেখিনি। ৬-৭ দিন আগে একদিন কয়েকজন শ্রমিক এসে কিছু আগাছা জাতীয় গাছপালা কেটে পরিষ্কার ও কয়েকটি মাটির বাঁধ সরিয়েছে। 

একই গ্রামের কৃষক ভাদু প্রামাণিক জানান, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য খাল খননের বরাদ্দ এলেও খনন না হওয়ায় বিলের জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর হবে না। 

এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিয়মানুযায়ী কাজ করা হয়েছে বলে দাবী করলেও খালের কোন অংশে মাটি কাটা হয়েছে এবং কতজন শ্রমিক কাজ করেছে তা জানাতে পারেননি। এছাড়া গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে শ্রমিকের মজুরী দেয়ার বিষয়ে কোন সদ্দুত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ মাহমুদের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ না হওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

তবে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ বসাক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্যার ছুটি থেকে এলে বিষয়টি আমি তাকে জানাবো।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর