১৪ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:০৩

হোসেনপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা, ফুঁসে উঠেছেন কৃষক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

হোসেনপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা, ফুঁসে উঠেছেন কৃষক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুরে ১১টি বিলের পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দেওয়ায় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আগে যে জমিতে তিন ফসল ফলাতো কৃষক, এখন এক ফসলও ফলানো যাচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসন করে নির্বিঘ্নে ফসল ফলানোর দাবিতে কৃষকরা সংগ্রাম কমিটি গঠন করে আন্দোলনে নেমেছেন।

সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আলাল মিয়া জানান, ২০০৮ সাল থেকে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের তারা বিল, কামীনী বাবুর বিল, বলিয়ার বিল, হারুয়ার বিল, হিংড়া হুলির বিল, উত্তরের বিল, দক্ষিণের বিল, গোপাল নদীর নাল, কাট গরিয়া বিল, কোমার পাতা বিল ও জালু পুরির বিলের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। নালা বন্ধ করে তারা মাছ চাষ, দোকান ও বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছে। এর ফলে এলাকার কয়েকশ কৃষকের ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক কৃষক ফসল ফলাতে না পেরে ঋণগ্রস্ত হয়ে জমিজমা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। 

সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব আবুল কাসেম জানান, যে জমি ছিল তিন ফসলী, এখন এক ফসলও করা যাচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন আকন্দ বলেন, সরকার যেখানে একই জমিতে তিন ফসল থেকে চার ফসল করার কথা বলছে, সেখানে গুটি কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে কৃষক এক ফসলও করতে পারছে না। তিনি  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শত শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অথচ প্রশাসন কিছুই করছে না।

আজ গোবিন্দপুর চৌরাস্তা মোড়ে কৃষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কৃষকরা দ্রুত এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।

হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর