১৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:৪৮

নানা কর্মসূচিতে রাঙামাটিতে শোক দিবস পালন

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:

নানা কর্মসূচিতে রাঙামাটিতে শোক দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। 

আজ বুধবার সূর্যোদয়ের পর সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করা হয়। 

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির উপর আলোচনা সভা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, ডিজিএফআই রাঙামাটি অধিনায়ক কর্ণেল শামসুল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির, রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনক  কমান্ডার আসাদুজ্জামান খাঁন, সনাকের সভাপতি চাঁদ রায় উপস্থিত ছিলেন। 

আলোচনা সভার পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিও পালিত করা হয়। এছাড়া রাঙামাটি জেলার সব মসজিদ, মন্দির, বিহার, গীর্জা, কিয়াং ও অন্যান্য ধর্মীয় উপসানলয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। জেলা কারাগার এতিমখানা, সরকারি শিশুসদন ও গরিবদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়।

অন্যদিকে একইভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোক র‌্যলী, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
দিবসটি উপলক্ষে সদর উপজেলা পরিষদ হতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পর্যন্ত শোক র‌্যালী শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। এরপর  রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময়
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিব উল্লাহ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউছুফ হাসান চৌধুরী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন। 

দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর