বগুড়ার ধুনট উপজেলার অভ্যন্তরিন বিভিন্ন রুটে বেপরোয়াভাবে চলছে পরিবহন চাঁদাবাজি। স্থানীয় একাধিক শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে এসব চাঁদাবাজি। তারা অবৈধভাবে চলাচলকারী ভটভটি, নসিমন ও করিমন থেকে প্রায় ১৫-২০টি পয়েন্টে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে।
এছাড়াও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, চালিত অটোরিকসা, ইজি বাইক, বাস, মিনিবাস ও ট্রাক থামিয়ে একইভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের নীরবতার কারণে এই চাঁদাবাজির মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। এতে পরিবহন মালিক, চালক ও যাত্রীগণ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বগুড়ার ধুনট পৌরসভার সচিব শাহীনুর ইসলাম বলেন, পৌরসভার রাজস্ব আদায়ের জন্য পৌর এলাকার রাস্তা প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। তাই ইজারাদার লোক নিয়োগ করে যানবাহন থেকে আদায় করে।কান্তনগর বাজারের চেইন মাষ্টার (চাঁদা আদায়কারী) সুলতান মাহমুদ জানান, ধুনট উপজেলা অটোরিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এবং কান্তনগর বাজার সমিতির নামে ১০ টাকা করে আদায় করা হয়।
তবে শ্রমিক নেতা ফজলুল হক মিলন বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণের নামে বৈধভাবেই টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান জানান, রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায়ের ঘটনা জানা নেই। তবে প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার