১৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৬:২৩

বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অপারেশনের রোগী ও সিজারিয়ান রোগীরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় সিজারিয়ান মা ও নবজাতক বাচ্চা অসহনীয় গরমে ছটফট করছে। সুস্থ হয়ে উঠার আসায় হাসপাতালে এসে মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে বিদ্যুতের পাশাপাশি পানি সংকটও দেখা দেওয়ায় থাকায় পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে।

অন্য স্থান থেকে পানি নিয়ে হাসপাতালের দোতলায় ও তৃতীয় তলায় নিয়ে অতিকষ্টে রোগীদের বাথরুম ও অন্যান্য কাজ সারতে হচ্ছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এমন অব্যবস্থাপনা দেখে গ্রাম-গঞ্জ থেকে অপারেশন করতে আসা রোগীরা বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেফালি খাতুনের স্বামী মহব্বত আলি বলেন, তিন দিন আগে স্ত্রীকে সিজার করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। কর্তৃপক্ষ বলে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই, যে টুকু সময় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তাও লো ভোল্টেজ। তোমার স্ত্রীকে যদি সিজার করতে হয় তাহলে জেনারেটরের তেল কিনে দিতে হবে। আমি তেল কিনে দেয়ার পর জেনারেটর খাটিয়ে ডাক্তাররা আমার স্ত্রীর সিজার করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক রোগী জানান, ৭ দিন আগে তিনি ভর্তি হয়েছেন। এরপর থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানি নেই। কিছু বললে ডাক্তার ও নার্সরা চলে যেতে বলেন। তিনি এ বিষয়ে ঊর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: তওহীদুর রহমান জানান, এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালের ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যায়। আর ৫০ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমার লাগানো হয়েছে তাতে কাজ হচ্ছে না। লো ভোল্টেজের কারণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ম্যাশিনগুলো চলছে না। বর্তমানে হাসপাতালে ২৫০/৩০০ জন রোগী ভর্তি আছে। বিদ্যুতের অভাবে তারা প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ অপারেশন রোগী। হাসপাতালের প্রয়োজন ১৫০ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমার। বিদ্যুৎ অফিসে বার বার বলা হলেও তারা ৫০ পাওয়ার কেভির বেশি ট্রান্সফরমার দিতে পারছে না। এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে ১৫০ পাওয়ার কেভি ট্রান্সফরমর চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ট্রান্সফরমারটি পাওয়া গেলে হাসপাতালের দূরবস্থা লাঘব হবে। 

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন জানান, ১৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি ২/১ দিনের মধ্যে হাতে পাওয়া যাবে। তখন অপারেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম হাসপাতালে ভালভাবে পরিচালনা করা যাবে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর