১৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:৫৬

জমে উঠেছে রাঙামাটির পশুর হাট

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

জমে উঠেছে রাঙামাটির পশুর হাট

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-আযহা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন পাহাড়ের গরু ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাঙামাটির পশুর হাটগুলো। এসব হাটে আনা হচ্ছে পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার রঙ বেরঙ্গের গরু। দেখতেও বেশ মোটা তাজা। তবে দামও বেশি। 

সাধারণত এসব গরু বন-জঙ্গলে লতাপাতা খেয়ে বড়  হয়ে উঠে। তাই গরুর স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কোনো রকম কৃত্রিম ওষুধও প্রয়োগ করতে হয় না বলে দাবি গরুর খামারিদের। এসব গরুর চাহিদাও অনেক বেশি। তাই বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা গরু সংগ্রহ করছেন রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। 

তবে স্থানীয় বাজারের চাহিদা না মিটিয়ে বেশি লাভের আশায় গোপনে গরু রফতানি করা হচ্ছে সমতলে রয়েছে এমন অভিযোগও।

রাঙামাটির স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শত শত পাহাড়ি গরু। তাই জমে উঠেছে রাঙামাটির বিভিন্ন পশুর হাটগুলো। হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে চোখে পরার মত। তবে ক্রেতারা বলছেন, গেলো বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম একটু বেশি। তাই স্বাধ থাকলেও নেয় সাধ্য অনেকের। 

দালাল চক্রের কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ জেলার বাইরে।

অন্যদিকে, গরু ব্যাপারিরা বলছেন, রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে গরু আসতে শুরু করেছে। দুই/এক দিনের মধ্যে আরও গরু আসবে। এখনো পর্যন্ত পশুর হাট থেকে কেউ খালি হতে ফিরে যাননি। সবাই কিনছেন পছন্দের গরু। তাও সুলভ মূল্যে। 

রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন জানান, রাঙামাটি পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে শহরে পশুহাট বসানো হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে নিজেদের সুবিধা মতো এ হাটে পশু কেনাবেচা করতে পারছেন। এখানে দালালদের কোনো রকম উৎপাতের সুযোগ নেয়। এসব হাটে সরাসরি ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু কেনাবেচা করতে পারছেন। এ ছাড়া কোরবানি দেওয়ার জন্য পৌরসভা থেকে বিভিন্ন এলাকায় স্থান নিধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে পৌর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ বজায় থাকে।  

অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটি কোরবানির পশুর হাটগুলোতে দৌরত্ব বেড়েছে দালাল চক্রের। তাই দালাল চক্র ও ও জালনোট চিহ্নিত করার জন্য পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির জানান, আসন্ন কোরবানি ঈদকে ঘিরে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পশুর হাটে জালনোট চিহ্নিত করার জন্য মেশিন দেওয়া হয়েছে। দালাল চক্রের দৌড়াত্ব কমানোর জন্য সাদা পোশাকেও  পুলিশের বিশেষ দল সর্বক্ষণিক থাকছে পশুর হাটে। স্থানীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর