শিরোনাম
১৮ আগস্ট, ২০১৮ ১৯:৩৯

দেশি গরুতেই জমে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলো

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশি গরুতেই জমে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলো

ফাইল ছবি

দাম কিছুটা বেশি হলেও এবার শেষ মুহুর্তে দেশি গরুতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার হাটগুলো জমে উঠেছে। বেশ কিছুদিন ধরে জেলার বিট-খাটালগুলো দিয়ে ভারতীয় গরু না আসায় জেলার খামারে লালন-পালন করা গরুগুলোই হাটে বেচা-কেনা হচ্ছে। যদিও দাম কিছুটা বেশি পড়ছে। তারপরও দেশি গরু কিনে সন্তুষ্টির ঠেকুর তুলছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারাও বেশি লাভ করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। 

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আনা গরু মূলত বিক্রি হয় জেলার অন্যতম পশুহাট শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুরে, সদর উপজেলার বটতলাহাটে এবং নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডি হাটে। 

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলার অধিকাংশ বিট-খাটালগুলো প্রকৃত মালিকের দখলে না থাকার সুযোগ নিয়ে একটি সিন্ডিকেট প্রতিজোড়া গরুতে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছিল। এতে করে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং লাভ কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে গরু আনা প্রায় বন্ধ করে দেন। পাশাপশি গরুর সাথে অস্ত্র আসছে আশঙ্কায় বিজিবি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে গবাদীপশুর বিট খাটালগুলো বন্ধ থাকায় এবং সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি’র কড়াকড়ির কারণে এখন ভারত থেকে গরু আসছে না। 

ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হলেও জেলার বাজারে পশু সংকট হবে না বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার। কিন্তু জেলার ৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৮৭৯টি খামারে ৭৮ হাজার ৯৮৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে বাকি গবাদিপশু। তাই এবার ভারত থেকে গরু না আসলেও তেমন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু দাম হয়তো কিছুটা বেশি হবে। 

এদিকে জেলার পশুহাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গতবারের চেলে এবার অনেক বেশি দামে গরু বিক্রি হচ্ছে। গতবার যে মাঝারি আকারের গরু ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এবার ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায়। কিন্তু গতবার গরুগুলোর দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। ফলে ক্রেতারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। 

তবে ভারতীয় গরু না আসা প্রসঙ্গে ভারতীয় গবাদিপশু আমদানি ও বিট সেশন, বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুস সামাদ খান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিট-খাটালগুলোর বৈধ মালিকানা না থাকায় অবৈধ দখলদাররা অতিরিক্ত চাঁদাবাজী করছে। ফলে ভারতের গরু ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই তারা সীমান্ত পথে গরু না দেয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর