শিরোনাম
১৮ আগস্ট, ২০১৮ ২০:২৯

টেঁটাবাহিনীর আতঙ্কে ফতুল্লার বাসিন্দারা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

টেঁটাবাহিনীর আতঙ্কে ফতুল্লার বাসিন্দারা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চরাঞ্চলে বক্তাবলীতে ছামেদ আলী ও তার টেঁটাবাহিনীর হামলায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ইটভাটার কন্ট্রাক্টর জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলার আসামিদের ৮ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছামেদ আলী ও তার টেঁটাবাহিনী এলাকায় ফিরে আসায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এতে করে আবারো বক্তাবলীতে বড় ধরনের সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছামেদ আলী ও তার টেঁটাবাহিনী একাধিকবার রহিম হাজীর ইটভাটা দখল করে লুটপাট চালিয়েছিল। ওই বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

গত ১২ জুলাই তাদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রহিম হাজী ও ছামেদ আলীকে ডেকে থানায় নিয়ে যান। পাওনা ২৩ লাখ টাকা রহিম হাজীকে পরিশোধ করার জন্য ছামেদ আলীকে নির্দেশ দেয় ওসি। কয়েক কিস্তিতে ছামেদ আলী সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু পাওনা অর্থ পরিশোধ করাতো দূরের কথা গত ৯ আগস্ট রহিম হাজী ও তার লোকদের উপর হামলা চালায় ছামেদ আলী ও তার টেঁটাবাহিনী। এতে রহিম হাজীর আত্মীয় জয়নাল আবেদীনসহ ৮ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়। পরদিন ১০ আগস্ট জয়নাল আবেদীন নিহত হয়।

এরপর নিহত জয়নালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে ছামেদ আলীকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে। মামলার অন্য আসামিরা হলো ছামেদ আলীর ছেলে রাজিব, আরিফ, গনি, সজিব, হৃদয়, আবুল হোসেন, আলমগীর, আতিক, দিলু, আলী হোসেন, সুজন, সালাম, জুয়েল। আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিরাজদীখান থানাতে একাধিক মামলা রয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের অভিযোগ পৃথক দু’টি মামলাও করা হয়।

এদিকে ১৪ আগস্ট টেটাবিদ্ধ নিহত জয়নালের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। বক্তারা বলেন, আকবর নগর এলাকার ছামেদ আলী ও তার টেঁটাবাহিনী এলাকাবাসীকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে। এলাকার বেশিরভাগ ইটভাটা থেকে টেঁটার ভয় দেখিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে। পুরো গ্রামকে কার্যত জিম্মি করে এসব কর্মকাণ্ড করে আসতো ছামেদ আলীর বিশাল টেঁটাবাহিনী। ছামেদ আলী বাহিনীর চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন জয়নাল আবেদীন। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, একটি হত্যা মামলার আসামিরা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসায় আবারও টেঁটাবাহিনীর আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী। যেকোন সময় আবারো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহজালাল জানান, জয়নাল হত্যাকাণ্ডের পর আমরা অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এরপর আসামিদের সকলেই উচ্চ আদালত থেকে ৩ সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর